দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে সরকারী-বেসরকারী অথবা দলীয় কোন প্রোগ্রামে ভাইস চেয়ারম্যানদের সস্মানজনক নির্ধারিত আসন না থাকায় তৃণমূলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাগেছে, জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়েও উন্নয়নমূলক জনসভা অথবা যেকোন প্রোগ্রামে মঞ্চের উল্লেখযোগ্য জায়গায় পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের চেয়ার না থাকায় চিরিরবন্দরের সর্বস্তরের মানুষের কাছে আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যে কোন উন্নয়নমূলক সভায় উপজেলা পরিষদ থেকে তাদেরকে চিঠির মাধ্যমে উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলেও সেখানে তাদের দেখা যায় বসার তেমন কোন সিট নাই। সাইটে দাড়িয়ে বা পেছনে চেয়ারে বসে অথবা নিচের সারির মানুষের সাথে বসে থাকতে দেখা গেছে তাদেরকে। আয়োজনকারী অথবা স্থানীয় আওয়ামীলীগ তাদের বসার স্থান করে না দেওয়ায় বিব্রর্তকর পরিস্থিতিতে পড়েছে উপজেলার এই দুই ভাইস চেয়ারম্যান।
সরেজমিনে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাণীরবন্দর বাজারে রুপালী ব্যাংকের সামনে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট এর অর্থায়নে ও পিডিবিএফ এর বাস্তবায়নে সড়ক সোলার লাইট স্থাপন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল হাসান মাহমুদ আলী এমপি। সেই জায়গায়ও তাদেরকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন সময়ে এমপির উন্নয়নমূলক সরকারী প্রোগ্রামেও তাদের দাঁড়িয়ে থাকতে অথবা পেছনের চেয়ারে বসে থাকতে দেখা গেছে।
এ বিষয়ে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান জোতিষ চন্দ্র রায় সাংবাদিকদের জানান, এমপি স্যারের অথবা সরকারী যেকোন প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকার জন্য পরিষদ থেকে আমাদের চিঠি দেয়া হয় এবং এমপি স্যার আমাদের নিজেও প্রোগ্রামে আসার জন্য নির্দেশ করেন । কিন্তু সেই খানে গিয়ে দেখা যায় আমাদের বসার কোন সিট নেই। নির্বাচিত জনগনের প্রতিনিধি হয়ে আয়োজনকারীর এমন আচরনে আমরা বিব্রর্ত প্রকাশ করি। তাদের কাছে এমনটা আশা কখনই করিনা।
এ দিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা. লায়লা বানু বলেন, জনগন আমাদের ভোট দিয়ে সম্মান দিয়েছে। অনেক বড় একটি ধাপ পেরিয়ে আমরা এ জায়গায় এসেছি । নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়েও সভা বা মঞ্চের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা এমনটা আশা করি না।