ইট কাঠের নাগরিক সভ্যতার শহরগুলো থেকে দ্রæতই হারিয়ে যাচ্ছে সবুজ কিন্তু মানুষ তার শিকড়কে সহজে ভুলতে পারে না। সবুজে ভরা গ্রাম বাংলায় বেড়ে উঠা নাগরিক সমাজের একটা অংশ সবুজকে ধরে রাখতে চায় সবস্থলে। শৌখিন মানুষরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার জন্য একান্ত নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় আপন আপন বাড়ির ছাদে তৈরি করছে ছাদ বাগান।
এমন প্রশংসনীয় ছাদ বাগানের দেখা মিলল দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক ভবনের ছাদে এবং ইউএনও’র ডাকবাংলোতে। এগুলোতে নিজস্ব পরিকল্পনায় বাগান এবং পরিত্যক্ত জায়গায় লিচু বাগান ও সবজী চাষ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কৃষিবিদ আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম।
বছরখানেক আগে ছাদবাগান শুরু করেন তিনি। তাইওয়ান কুল,লেবু,কমলা,মাল্টা,করমচা,চেরিফল,জামরুল,ডালিম,আম, লিচু,আপেল,পেয়ারা, সফেদা,শরীফা, মিষ্টি তেঁতুল,মিষ্টি জলপাই, লটকন,মিষ্টি কামরাঙা, জাম্বুরা,ড্রাগন ফল,কদবেল, বেল, ক্যাপসিকাম ও আমড়াসহ ফলদ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় দুই শতাধিক গাছ এখন ছাদবাগানে আছে। অফিস ভবনের মাঝে হঠাৎ সবুজে সবুজে ছেয়ে থাকা এই ছাদ দেখলে চোখ জুড়ায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে আগত সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের।
ছাদে বাগান করে তিনি যেমন মনে আনন্দ পাচ্ছেন: তেমনি বিশুদ্ধ শাক-সবজি ও ফল পাচ্ছেন। বাগানে কিছু ফলগাছ আছে যেগুলোতে সারা বছরই ফল ধরে আর ছাদের বাগানে চাষ করা বিষমুক্ত ফল দিয়ে করা হচ্ছে অতিথি আপ্যায়ন।
এবিষয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষিবিদ আহমেদ মাহবুব-উল- ইসলাম জানান, ছাত্রজীবন থেকেই কৃষির প্রতি ভালোবাসার টানে বিভিন্ন গাছ-পালা লাগাতেন তিনি। সেই কারনেই খানসামায় যোগদানের বছর খানেক পরেই ছাদ বাগান তৈরী করা হয়। তিনি সকলকে সৃষ্টিশীলতা ও নান্দনিকতার চর্চার আহŸান জানান।