সুজানগরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ কে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিতের অভিযোগ

সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগর পৌর শহরের ভবানীপুর মহল্লার বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কমান্ডর সুলতান মাহমুদ কে জমিজমার বিরোধ কে কেন্দ্র করে লাঞ্চিতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদের ছেলে জাহিদুল ইসলাম রোজ অভিযোগে করে জানান মঙ্গলবার সকাল ১১.৩০ ঘটিকায় আমার বাবা আমাদের বসত বাড়ী থেকে বাজারে যাবার পথে, আমার চাচাতো ভাই শহিদুল পথ রোধ করে আমার পিতা কে সংঘবদ্ধ ভাবে হামলা চালিয়ে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিতের করে। সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থলে পৌছালে আমাকেও মারপিট করে। আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়, পরে এলাবাসীর সহযোগীতায় আমার পিতা কে উদ্ধার করে সুজানগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। আমার পিতার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় ও আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। সুলতান মাহমুদ বলেন আমি এক বীর মুক্তিযোদ্ধা, দেশ ও জাতীর জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করে যুদ্ধ করেছি, কোন দিন কোন মানুষের হাতে লাঞ্চিত হইনি, আজ শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত হওয়ার চেয়ে মানুষিক ভাবে কস্ট ও দুঃখ পেয়েছি। শহিদ এই ভাবে আমাকে লাঞ্চিত করবে ভাবতেও পারিনি, ছোট বেলায় যাকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি, আজ তার ও তার ছেলের হাতে লাঞ্চিত হয়েছি, তাই এর সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পৌর শহরের ভবানীপুর মহল্লার মরহুম নিজাম উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে শহিদুর রহমান জানান আমার জমির উপর, আমার বাবার হাতে লাগানো গাছ গুলো, আমারি ছোট চাচা সুলতান মাহমুদ জোর পূর্বক গাছ কাটতে গেলে তাকে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক সুজিৎ দেবনাথ বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্চিত করা দুঃখ জনক, ঘটনাটি শোনার পর পরই পুলিশ প্রশাসন কে বলেছি মামলা নিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করতে, ইতিমধ্যেই ৩জন কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সুজানগর থানায় ৫জন কে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাদিউল ইসলাম জানান থানায় মামলা হয়েছে। শহিদুর রহমান, নিরব ও আনিস কে গ্রেফতার করা হয়েছে, ইয়াকুব ও জিয়া কে গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ক্যাপশনঃ পাবনার সুজানগরে বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান মাহমুদ কে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত।