নাটোরের বড়াইগ্রামের জোয়াড়ি-কাঁছুটিয়া গ্রামিন সড়কে একটি কালো রংয়ের হাইয়েজ মাইক্রোবাস চলতে দেখেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। কে বা কাহারা ছেলে ধরার জন্য এই গাড়ি এসেছে এমন প্রচার করলে আতঙ্কগ্রস্থ অভিভাবকেরা স্কুল থেকে ক্লাশের মাঝখানেই তাদের শিশু সন্তানদের ফিরিয়ে নিয়ে আসে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা জোয়াড়ি ইউনিয়নের কাঁছুটিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিভাবকরা কাঁছুটিয়া সরকারী প্রাইমারী স্কুল থেকে প্রথম শিফটের শিশু শ্রেণী, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সকল শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। এ সব ঘটনা গুজব বলে শতবার বোঝানোর চেষ্টা করলেও কোন অভিভাবকই আমলে নেননি ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা নুরজাহান শেলী’র কথা। বাধ্য হয়ে তিনি রবিবার সকাল ১০টায় মা সমাবেশের আয়োজন করেছেন। সেখানে ইউএনও, থানার ওসি ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গেছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কাঁছুটিয়া গ্রামের পথে একটি মাইক্রোবাস চলতে দেখলে ছেলে ধরা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এর কিছুক্ষণ পরই অভিভাবকগণ এসে চলমান ক্লাশ থেকে তাদের সন্তানদের নিয়ে যায়।
স্কুলের প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হৃত্তিকার মা জয়া চক্রবর্তী জানান, দেশের সব জায়গায় ছেলে ধরার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। বলা যায় না কখন কি হয়। তাই মেয়েকে নিতে এসেছি।
শিশু শ্রেণীর শিক্ষার্থী বহ্নি সরকারের মা শিখা সরকার জানান, সন্তানদের নিয়ে সার্বক্ষণিক চিন্তায় থাকতে হচ্ছে। ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও সার্বক্ষণিক ভয়ের মধ্যে থাকছে। ওরা কেউ একা স্কুলে আসতে চায় না। গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়ায় ভয়ে মেয়েকে স্কুল থেকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আপাতত তার সন্তানকে স্কুলে পাঠাবেন না বলে জানান ওই অভিভাবক।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলিপ কুমার দাস জানান, যারা গুজব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও আনোয়ার পারভেজ জানান, সকল স্কুলেই এই গুজবের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে শিক্ষা অফিসারকে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।