✍️✍️নাসিম উদ্দীন নাসিম
প্রত্যেক লেখক সে নিজের বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ। সে কোন দল বা গোষ্ঠির পক্ষে কথা বলা অনুচিৎ। মানুষের অস্তিত্ব যেখানে সেখানেই থাকতে হবে লেখকের বিবেক। আল্লামা আহমদ শফি, হুমায়ূন আজাদ, অভিজিৎ রায়, ভারতের দেবযানি কিংবা যেকোন পতিতালয়ের নারী, পুলিশ, সেনা বাহিনী, আলেম-ওলামা, হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইত্যাদি যে কেউ, যে পেশা, যে বর্ণ এবং যে ধর্মেরই থাকুক, সে আক্রান্ত হলে লেখকের বিবেক যদি জেগে না ওঠে তা হলে এই লেখক বিবেকবান নয়। ব্যক্তি মানুষের মনে একটা দলের প্রতি, একটা ধর্মের প্রতি, একটা আদর্শের প্রতি, একটা জাতি গোষ্ঠির প্রতি প্রেম থাকতে-ই পারে। কিন্তু সত্য আর ন্যায় থেকে বিচ্যুতি বিবেকমান মানুষ হতে পারে না। বুঝের অভাবে কিছু ঘটলে ভিন্নকথা। আজকে এখানে বাংলাদেশের পুলিশকে নিয়ে কিছু কথা বলতে চাই। যেসকল কাজে পুলিশ জাড়িত হয় সে সব কাজে আমরা সর্বদাই পুলিশের দোষ দেখি। আমরা দেখি পুলিশ ঘুষ খায়, পুলিশ মারে, পুলিশ হিংস্র হয় ইত্যাদি।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এটা আমাদের সবার জানা। পুলিশ ঘুষ খায় এটাও সবাই বলেন। পুলিশ পুলিশই। মানুষ না। এমন ধারণা প্রায় মানুষেরই। এরপরও পুলিশের কাছে মানুষকে যেতে হয়। অর্থাৎ পুলিশ আছে বলেই সমাজটা আছে। সমাজের মানুষ এখনও রাতে ঘুমোতে পারে। বলুন, পুলিশ না থাকলে রাতে কেউ ঘুমোতে পারতেন নির্বিঘ্নে? আমরা সাধারণ পাবলিক রাতে নির্বিঘ্নে ঘুমিয়ে থাকি। অথচ পুলিশ রাত জেগে ডিউটি করে। মানুষকে সেবা দেয়। এরপরও পুলিশকে মানুষের গাল খেতে হয়। হতে হয় বিরাগভাজন।একটি দিন পুলিশবিহীণ রাষ্ট্রের কথা ভাবুন তো ???
✍️✍️✍️পুলিশ ঘুষ খায় এটা চিরাচরিত সত্যের মতই। ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি আমরা। দেশের বিভিন্ন এলাকার থানা পুলিশের কাছে কাউকে আটক করা হলে ছেড়ে দিতে অনেক অনুরোধ আসে। পাশাপাশি বিভিন্ন মামলা সংক্রান্ত কাজ করিয়ে নিতে পুলিশের সরনাপন্ন হয় সাধারন মানুষ। এসব কাজের ক্ষেত্রে পুলিশ ওইসব মানুষের উপকার করার চেষ্টাও করে থাকে। সাধারণত কাজের শেষে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাকে কিছু টাকা দিয়ে খুশি করা হয়ে থাকে। এতে খুশি হন কাজ প্রত্যাশি ব্যক্তি ও পুলিশ কর্মকর্তা। সামান্য কিছু টাকা হলেও তা কি ঘুষ নয় ? তবে আসামী আটকের পর ছেড়ে দেয়ার অনুরোধের পর টাকা দাবি করলে তা অবশ্যই ঘুষ বলে আমরা জানি।
‘
✍️✍️পুলিশ ঘুয খায়’ কথাটা পুরোপুরি ঠিক নয়।পুলিশ অনেক কিছুই খায়। ধাওয়া খায়। মার খায়। গুলিও খায়। গুলি খেয়ে মারাও যায়। এসব অনেককেই খেতে হয় না। ঘুষ অফিসার খায়। ইঞ্জিনিয়ার খায়। ডাক্তার কমিশন খায়। বিনাপ্রয়োজনে অতিরিক্ত প্যাথলজিকাল পরীক্ষা করিয়ে ডায়াগনস্টিক ল্যাব থেকে কমিশন পাওয়াটা কি ঘুষের চেয়ে ভালো খাদ্য? অনেক প্রফেসার ঘুষ খেয়ে বেশি নম্বর দিয়ে ফেল করা ছাত্রকেও পাস করিয়ে দেন। এটা কি পুলিশের ঘুষ খাওয়া থেকে উত্তম কোনও ‘খাবার’?
ব্যাংক থেকে হাজার কোটি টাকা গায়েব হয়ে যায়। কয়লাখনি থেকে কয়লা উধাও হয়। পাথরখনি থেকেও পাথর উড়ে যায় কোটি কোটি টাকার। সে তুলনায় পুলিশের ঘুষ খাওয়া অবশ্য সামান্যই। গুটি কয়েক অসৎ পুলিশ সদস্যের ঘুষ, দুর্নীতি ও অন্যায়ের দায়ভার পুরো বাহিনী নিতে পারে না।আপনি দিতেই পারেননা ।
একসময় জনবল, গাড়ি, বেতন-ভাতা, অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বঞ্চিত ছিল পুলিশ। তবে এখন এসব সমস্যার অনেকটাই কেটে গেছে। রোদ বৃষ্টিতে ২৪ ঘন্টা ডিউটি তাদের। দেশের অ¯স্থিতিশীল পরি¯স্থতি হলে তো কথাই নেই। ছুটি নেই কারও। এর মধ্যে রয়েছে রাজনৈতিক চাপ। অপরাধী ধরলেই তদবির আসে। পাতি নেতা থেকে শুর“ করে উঁচু লেভেল থেকেও ফোনে ধমক দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। তবে পুলিশ সার্বক্ষণিক সেবা দেয়ার চেষ্টা করে আসছে।
✍️বিভিন্ন থানায় কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে ঘুষের প্রকৃত কাহিনী জানা গেছে। তারাও একই প্রশ্ন তুলে বলছেন, আসলে কেন পুলিশ ঘুষ খায় তা কেউ খতিয়ে দেখেনা। থানায় এসে একটা অভিযোগ নিতে তদবির করা হয়। আসামী ধরতে বারবার তাগাদা দেওয়া হয়। কিš‘ অভিযোগ লেখার কাগজটি পুলিশের ওই কর্মকর্তার পকেটের টাকায় কেনা। আসামী ধরতে বাইরে গেলে পুলিশের ওই দলটিকে চা-নাস্তা খাওয়ানোর দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার। থানা থেকে গাড়ি না দিলে নিজের খরচে গাড়ি ম্যানেজ করা বা ভাড়া করা গাড়ি দিয়ে অভিযান চালানো। আবার সোর্সের মাধ্যমে খবর পেতে হবে। এজন্য তাদেরও দিতে হবে নগদ টাকা। আসামী ধরলে আসামীদের নিজের টাকায় খাওয়াতো হয়।সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দও আছে। তবে এই টাকা সময় মতো না পাওয়ায় হতাশা নিয়ে কাজ করতে হয় তাদের। তাছাড়া ঝুকিপূর্ন জায়গায় অপারেশন চালাতে গিয়েও বিপদের সম্ভাবনা থাকে। বেতন বেড়েছে পুলিশের। তবে সুবিধা বাড়েনি। পুলিশকে ডিজিটাল করা হয়েছে ।অফিসে বসার চেয়ার টেবিল এমনকি ল্যাপটপ পর্যন্ত নিজেদের টাকায় কিনে ব্যবহার করতে হয় । এখনো সেই মান্ধাতার আমলের মত দুপুরের খাবার খেতে হয় গাড়িতে বসে। ভিআইপি প্রোটকলের ডিউটিতে প্রায়ই দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের ঘাড়ে ব্যাগ নিয়ে দাড়ানো। কারন তাদের সঙ্গে কিছু খাবার থাকে। এছাড়াও আবাসন সঙ্কটসহ নানা সমস্যা রয়েছে পুলিশের।জনসংখ্যার তুলনায় জনবল কম হওয়ায় বেশিরভাগ সময়ই নির্ধারিত কর্মঘণ্টার পরেও বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হয় পুলিশ সদস্যদের। অন্যান্য পেষায় কর্মরতরা বাড়তি কাজের জন্য প্রণোদনা পেলেও এক্ষেত্রে বঞ্চিত পুলিশ। এছাড়া জেলাপর্যায়ে নির্ধারিত দায়িত্বের বাইরে পুলিশ সদস্যরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেও তাদের জন্য বাড়তি প্রণোদনার ব্যবস্থা নেই।
✍️✍️সারা দেশে ৬৩৩টি থানার মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে কাজ করে বাংলাদেশ পুলিশ৷ পুলিশ সদর দপ্তরের অধীনে পুলিশের ইউনিটগুলো হলো: রেঞ্জ পুলিশ, অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), বিশেষ শাখা (এসবি), ব্যাটেলিয়ন পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, টুরিস্ট পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন ও মেট্রোপলিটন পুলিশ৷ বিভাগীয় শহরগুলোতে কাজ করে মেট্রোপলিটন পুলিশ৷ এর বাইরে পুলিশ ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ও পুলিশ হাসপাতাল আছে৷ বহুল আলোচিত র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন বা র্যাব-ও পুলিশের আন্তর্গত৷ এ রকম আরেকটি হলো আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন বা এপিবিএন ।।৷পুলিশ সদস্যদের জন্যও নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা নির্ধারিত রয়েছে। কিন্তু বাস্তবতার প্রেক্ষিতে বেশিরভাগ সময়ই তাদের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই ৮ ঘণ্টার বেশি দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের ওভারটাইমের ব্যবস্থা করার দরকার।।
বিজিবি ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মাদক ✍️✍️
উদ্ধার করলে অর্থ পুরস্কার পান। মাদকদ্রব্য উদ্ধারে পুলিশকেও আনুপাতিক হারে অর্থ পুরস্কার দেওয়ার কথা ।কিন্তু, এ ক্ষেত্রে পুলিশকে সে সুবিধা প্রদান করা হয়না।
পুলিশের কাজের প্রকৃতি এবং আমাদের স্বভাব এর পেছনে দায়ী থাকতে পারে। পুলিশ ধরলেও দোষ, ছাড়লেও দোষ। এই সমাজে ডাক্তার আর পুলিশ। এই দুটো পেশা আসলে কিছুটা অতিমানবীয় মনে হয়। মানুষ যখন সুস্থ থাকে তখন সে জীবনেও ডাক্তারের নাম মুখে আনে না। আর সুখে থাকলেও জীবনে পুলিশের নাম নেয় না। মনে রাখবেন ‘সুস্থ’ এবং ‘সুখ’। দুটো শব্দই ‘সু’ দিয়ে নির্মিত। এই দুই ‘সু’ মানুষের থাকলে আর কারুর ধার ধারে না সহজে। নিশ্চিন্তে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোয় বলা চলে।
একজন ডাক্তার মাসের পর মাস, বছরের পর বছর যতো মানুষের সঙ্গে মিলিত হন তারা সবাই অসুস্থ। রোগাক্রান্ত। একজন পুলিশ চাকুরি জীবনের শুরু থেকে শেষ অবধি অপরাধী ও অপরাধ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েই জীবন ও ক্যারিয়ার শেষ করেন। আমাদের সমাজে কিছু নির্মম বাস্তবতা রয়েছে যা সবার চোখে পড়ে না। যেমন: উৎসব বা পার্বণে পুলিশকে দাওয়াত দেয়া হয় না। কিন্তু বাড়িতে ডাকাত পড়বার আশঙ্কা থাকলে ঠিকই থানাপুলিশের ডাক পড়ে। আনন্দের সময়, সুখের দিনে পুলিশকে ডেকে এনে একবেলা খাওয়ালে সম্পর্ক ভালো থাকে। বিপদের দিনে সহজে পাওয়া যায়। পুলিশের সঙ্গে বন্ধুত্ব থাকা, সুসম্পর্ক থাকা নিশ্চয় দোষের নয়। কেন, পুলিশের সম্পর্ক কি কেবল চোরডাকাতের সঙ্গেই থাকতে হবে? ভালো লোকের সঙ্গে থাকতে পারে না? নিশ্চয় পারে।
✍️✍️
অন্যায় ও দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত একই অবস্থা। মন্ত্রী থেকে সেক্রেটারি, অফিসার থেকে পিয়ন সবাই একই ধান্ধায় বসে থাকেন। সবাই সবাইকে চেনেন। অচেনা অজানা কেউ নন। মন্ত্রী খেলে সেক্রেটারি বা সচিব ফেলে দেবেন কেন? পানি যেমন ওপর থেকে নিচের দিকে গড়ায়, ঘুষও তেমনই ওপর থেকে নিচে নামে। তবে হ্যাঁ, সবাই বলতে সবাই নন। এখানে সবাই বলতে ‘বেশির ভাগ’ ধরে নিতে হবে। বেশির ভাগই ঘুষখোর। সবাই খান না। মানে কেউতো ভালো আছেন অবশ্যই। অন্তত ভালো থাকতে চেষ্টা করেন। অর্থাৎ কেউ ভালো আছেন। ভালো থাকতে চেষ্টা করেন কষ্ট করে হলেও। এদের মধ্যে পুলিশও আছে। পুলিশের সবাই পচে গেছে এমন ভাবা ঠিক নয়। অনেক সময় পুলিশকে ঊর্ধ্বতনের কথা শুনতে হয়। এটা না মেনে উপায় আছে?
এদেশের জন্মলগ্ন থেকে দেখছি…ক্ষমতার বাইরে থাকা নেতারা সব সময় জোরেসোরে পুলিশকে গোলাম, তাবেদার, পাচাটাসহ অনেক অভিধা দিচ্ছেন। তারা কি বুকে হাত রেখে বলতে পারেন, কোন সরকারের আমলে পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পেরেছে? পুলিশ ব্যবহৃত হয়নি?
✍️✍️✍️পাওয়ারে থাকা সরকারের প্রতি পুলিশের আনুগত্য না থাকলে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে তা অনেকে কল্পনাও করতে পারবেন না। পুলিশ নিয়ে আমাদের এলার্জি আজকের নয়। এটি বহু পুরনো একটি জাতীয় ব্যাধি বলা যেতে পারে।
কিন্তু আমরা কেউ একবারও ভাবি না পুলিশ কেন এবং কখন এগুলো করে। আমরা তাও ভাবি না যে পুলিশও যে মানুষ। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে পুলিশ হলো রাষ্ট্রের তাবেদার। রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যারা থাকে পুলিশ বাধ্য তাদের তাবেদারী করতে। পুলিশ যদি সরকারের হুকুম অমান্য করে তবে তা রাষ্ট্রদ্রোহ হয়ে যাবে।আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন হলেই দেখবেন পুলিশ অটোমেটিক পরিবর্তন হয়ে যাবে। তবে ব্যতিক্রম কিছু থাকবেই। ১০০% ভালো মানুষ পুলিশ কেন, কোনও বিভাগেই পাওয়া যাবে না।
✍️✍️✍️তাই বলছি, শুধু দুঃখের সময় পুলিশকে স্মরণ না করে সুখের দিনেও নিঃস্বার্থভাবে তাদের কথা স্মরণ করলে অসুবিধে আছে কোনও? নিশ্চয় না পরিবর্তন খুব জরুরি। শুধু পুলিশ নয়, চাকরিজীবী নয়, প্রফেসার, ডাক্তার নয়, সর্বস্তরে পরিবর্তন প্রয়োজন। ঘুণেধরা সমাজের সবকিছু ভেঙেচুরে নতুন করে গড়ে তুলতে হবে। পুরনো বিল্ডিং মেরামত করলে যেমন ভালো হয় না; তেমন সমাজও এক আধটু ভেঙে ভালো করা যায় না। টেকসই করতে হলে পুরোপুরি ভাঙতে হবে। নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে সবকিছু।
তাই বলছিলাম, পুলিশ কারা? শুধু শুধু ওদের দোষ খুঁজে কী হবে? ওরাতো এই সমাজেরই মানুষ। দূষিত ও কলুষিত সমাজেই ওরা জন্মেছে। এখনকার জলহাওয়ায় ওদের রক্তমাংস পরিপুষ্ট। তবু কেউ কেউ ভালো আছে বলে সমাজ এবং এ জাতি এখনও টিকে আছে। তাই আবারও বলছি, বলতে বাধ্য হচ্ছি, পুলিশ আর কেউ নয়। ওরা আমাদেরই ভাই, বন্ধু অথবা প্রিয় সন্তান। ওরা দেশ ও জাতির জন্য যা করছে তা ফেলে দেবার মতো নয়। পুলিশকে ভালো দেখতে চাইলে সমাজকেও ভালো হতে হবে। শুধু দেশে নয়, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতেও আমাদের পুলিশ চমৎকার পারফর্মেন্স করছে। দেশ ও জাতির জন্য অভাবনীয় সুনাম বয়ে আনছে।