আগামীকাল পর্দা নামছে ২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের। আগামীকালই জানা যাবে, কারা হচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। সেইসঙ্গে জানা যাবে, কে হচ্ছেন এবারের আসরের সেরা খেলোয়াড়। আপাতত যা অবস্থা, তাতে সেরাদের সেরা হওয়ার এই দৌড়ে বাকিদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে সাকিব আল হাসান। ফলে শেষ পর্যন্ত ‘ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট’ট্রফিটা এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডারের হাতে উঠলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
এখন পর্যন্ত সেরা হওয়ার দৌড়ে সাকিবের সঙ্গে আছেন রোহিত শর্মা, ডেভিড ওয়ার্নার, মিশেল স্টার্ক ও কেন উইলিয়ামসন। এর মধ্যে সাকিব ছাড়া সবাই হয় ব্যাটিং, না হয় বোলিং দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। বিপরীতে সাকিবের সম্পদ ব্যাটিং-বোলিং দুটোই।
সাকিব আল হাসান প্রথম পর্বের লম্বা সময় ধরে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন। দল সেমিফাইনালের আগে বিদায় নেওয়ায় তিনি আর এগোতে পারেননি। তারপরও ৮ ম্যাচে ৮৬.৫৭ গড়ে ৬০৬ রান নিয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিন নম্বরে আছেন সাকিব। ব্যাট হাতে ৭টি ম্যাচেই পঞ্চাশ পার করেছেন তিনি; এর মধ্যে আছে দুটি সেঞ্চুরিও। একটা ম্যাচেও ৪০ রানের নিচে আউট হননি। একই সঙ্গে টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচে নিয়েছেন তিনি ১১ উইকেট। এর মধ্যে একটি ম্যাচে ৫ উইকেটও শিকার করেছেন সাকিব। ফলে ব্যাট-বল বিবেচনায় তিনি সবার চেয়ে এগিয়ে।
শুধু ব্যাটিং বিবেচনায় সবার ওপরে আছেন রোহিত শর্মা। ৯ ম্যাচে ৫টি সেঞ্চুরিসহ ৬৪৮ রান করেছেন এই ভারতীয় ওপেনার। ফলে তিনিও আছেন বিবেচনায়। এরপর আছেন ১০ ম্যাচে ৬৪৭ রান করা ডেভিড ওয়ার্নার। লড়াইয়ে আছেন ১০ ম্যাচে ২৭ উইকেট নেওয়া স্টার্কও। স্টার্ক এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপে সেরা বোলার হতে যাচ্ছেন। এবার ২৭ উইকেট নিয়ে তিনি বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন।
প্রতিযোগিতায় থাকবেন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনও। ৮ ম্যাচে ৫৪৮ রান তার। তবে এর সঙ্গে ক্ষুরধার অধিনায়কত্ব ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দলকে জিতিয়ে আনাটা বিবেচিত হবে।
সাকিব আল হাসানের বিপক্ষে কাজ করবে একটা ব্যাপারই—দলের ব্যর্থতা। সাধারণত সেমিফাইনালে ওঠা চার দলের ভেতর থেকেই সেরা খেলোয়াড়কে বেছে নেওয়া হয়। সাকিবের দল বাংলাদেশ এই জায়গায় পেরে ওঠেনি। তারা প্রথম পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। তারপরও সাকিবের বিস্ময়কর সাফল্যকে অবহেলা করাটা সহজ হবে না।