তাহেরপুরে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করে অডিটোরিয়াম ও বেড়িবাধ নির্মান

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভায় বর্ষার শুরুতেই জলাবদ্ধতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না করে পৌর কর্তৃপক্ষ অডিটোরিয়াম ও বেড়িবাধ নির্মান করায় পৌরবাসীর জলাবদ্ধতা একটি নিত্যদিনের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ড্রেনের পানি রাস্তার উপর উঠে পৌররবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। অল্প বৃষ্টিতে কাঁদা নর্দমা,ভাঙ্গা রাস্তায় পানি জমে কাঁদায় সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এছাড়া পৌরসভার প্রতিটি অলিতে গলিতে পানি উঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে পৌরবাসীর দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। আর জলাবদ্ধতার প্রধান প্রধান কারণ ভৌগোলিক কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য হাটের ভেতর মেইন রাস্তা বন্ধ করে কয়েক দিন ধরে ড্রেন পরিস্কার করলেও কোন ফলাফল পাচ্ছে না পৌরবাসী। যদি পরিকল্পিত পৌররায়ন না করা হয় তাহলে আগামীতে ভয়াবহ রূপ নিবে বলে পৌরবাসীর ধারণা। এলাকাবাসি সুত্রে জানাগেছে,পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের একমাত্র পানি নিস্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের যায়গায় অডিটোরিয়াম নির্মান করায় গত তিন বছর ধরে পানি বন্ধি হয়ে রয়েছে পৌরসভার ২নং ওর্য়াডবাসি,মসজিদ ও হাইস্কুলের খেলার মাঠ। এছাড়া সামান্য বুষ্টিতে ঘরবাড়িতে পর্যন্ত পানি উঠে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের কী দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানে। জলাবদ্ধতার কারণে এই দুর্ভোগকে আরো বাড়িয়েদেয় রাস্তাগুলোর যে দিকে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। পূর্বদিকে উচুঁ ভূমির জন্য পানি প্রবাহিত হওয়ায় সুযোগ নেই। এদিকে,বারনই নদিতে বেড়িবাধ নির্মান করায় পৌরসভার ৩নং ওর্য়াডের সিনেমা হলপট্রির পুর্ব পার্শের কয়েকটি বাড়িঘর পানি বন্ধি হয়ে পড়ে রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা রাজশাহী বিভাগের বানিজ্যিক একটি ব্যবসা কেন্দ্র তাহেরপুর পৌর হাট-বাজার। এই হাট-বাজারকে ঘিরেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন মার্কেটসহ বিপনী বিতান। আছে বিভিন্ন ধরণের দোকান পাট। মুচি থেকে শুরু করে যে কনো পণ্যের দোকান এই তাহেরপুর পৌর হাট-বাজারে রয়েছে। রাজশাহীর প্রাণকেন্দ্র এই তাহেরপুর হাট-বাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার লোকের সমাগম হলেও নেই জনসাধারণের জন্য পর্যাপ্ত কোন সুযোগ সুবিধা নেই।


এবং তাহেরপুর হাট-বাজারের মাছ পট্টি,মাংশ পট্টি, মুরগি পট্টি ও সবজি পট্টি নিয়ে গড়ে উঠেছে শত শত দোকান পাট। এছাড়া বাজারের আশপাশ দিয়ে গড়ে উঠেছে বহুতল ভবনসহ বিভিন্ন মার্কেট। এই বাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার এবং শুক্রবার-সোমবার হাটবারে লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম ঘটে। অথচ এ সকল শত শত দোকান পাটের ময়লা আবর্জনা ও পানি নিস্কাশনের জন্য নেই কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা। এতে করে সামান্য বৃষ্টি হলেও জমে যাচ্ছে কাদা পানিসহ ময়লা আবর্জনা। এতে করে হাট-বাজারের পথ দিয়ে বাজার করতে আসা জনসাধারনদের কাদা পানি দিয়েই চলাচল করতে হচেছ। শুধু তাহেরপুর পৌর হাট-বাজারই নয়। এই পৌরসভার বেশ কেছু রাস্তা চলাচলের উপযোগি নেই বলে জানা গেছে। তাহেরপুর পৌর হাটের ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল ছোবাহান,নরেশ,গোপাল চন্দ্র,জীবন,তামাল, মেহেদি,সোহাগ,রতন,রাম,জব্বার,হামিদ,কাসেম,ফজলু,বারিক,মাসুদ,হেলাল,জয়দেব,কৃষনসহ শত শত ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, তাহেরপুর পৌরসভা একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা প্রতি বছর প্রায় এক কোটি থেকে দেড় কোটি টাকার হাট-ঘাট টেন্ডার হতে আয় হয়। তাছাড়া আমরা এই বাজারে দোকান করার জন্য পৌরসভায় ট্যাক্স ও ভ্যাট সবই দিয়ে থাকি। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ ও পৌরসভা থেকে আমাদের সমস্যা দুর করার জন্য এখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এছাড়াও বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বিভিন্ন পট্টিতে কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় একটু বৃষ্টি হলেই এই পথে কাদা পানি জমে যায়। তাহেরপুর পৌরসভার হাটটি বারনই নদীর তীরঘেঁসে রয়েছে। এবিষয়ে ব্যবসায়ীরা বার বার পৌরসভার কর্তাদের বলেও কোন সমাধান পাওয়া যায়নি বলে একাধিক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন। তবে দ্রুত হাট-বাজারে বারনই নদীর সাথে সংযোগ করে ড্রেনেজ নির্মানের দাবি জানিয়েছেন ভুক্ত ভুগী ব্যবসায়ীরা ।