দীর্ঘ দিন ধরে নওগাঁর সাপাহারে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিংএর কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। লাগামগীন এই লোড শেডিংএর কবলে পড়ে অনেকের নামীদামী কম্পিউটার, ফ্রিজ, টিভি সহ যাবতীয় ইলেকট্রোনিক্্র যান্তপাতি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে। সাপাহার উপজেলা সদরে অবস্থিত মার্কেনটাইল ব্যাংকের ব্যাবস্থাপক মাহবুুবুর রহমান জানিয়েছেন চলতি লোডশেডিংর কারণে তাদের ব্যাংকের কয়েকটি কম্পিউটার ও এসির পাওয়ার কয়েল ও সার্কিট পুড়ে নষ্ট হয়েছে। এছাড়া উপজেলার কোচকুড়লিয়া গ্রামের জৈনক মনোয়ারুল হোসেন জানান যে ঘন ঘন লোড শেডিংএ পড়ে তারও এশটি ফ্রিজের কয়েল পুড়ে ফ্রিজে সংরক্ষিত মাছ, মাংসগুলি নষ্ট হয়ে গেছে। বেশ কিছু দিন ধরে তাদের গ্রামে কোন ব্যক্তি একটি মোবাইল ফোনও ঠিক মত চার্জ দিতে পারছেন। প্রায় মাসাধিককাল থেকে গড়ে প্রতি দিন প্রায় শতাধিকবার বিদ্যুত আসা যাওয়া করছে। এতে করে বিভিন্ন অফিস, দোকানপাট,বাসাবাড়ী সহ সর্বত্রই কাজে চরম ব্যাঘাত ঘটছে। লেখাপড়ায় কোমলমতি শিক্ষর্থীরা পড়ছে বেকায়দায়। বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি, অফিসার সহ সকল স্তরের লোকজন সাপাহার বিদ্যুত কর্তৃপক্ষকে বার বার অভিযোগ করেও কোন প্রকার কাজ হয়নি বরং বিদ্যুত আসা যাওয়ার মাত্রা অনেকাংশে বেড়েই গেছে। প্রতিদিন গড়ে কোন গ্রাহক ৫/৬ঘন্টা বিদ্যুত ব্যাবহার করতে না পেরেও মাসের শেষে একগাদা বিল আসছে তাদের নামে। এবিষয়ে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুত সমিতি-২ এর সাপাহার অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিজিএম তাজুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি জানান যে, বিষয়টি যান্ত্রিক ত্রুটি। সাপাহার উপজেলা সদর হতে পার্শ্ববর্তী পতœীতলা উপজেলার নিরমইল ইউনিয়নে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার কারণে মুলত এই সমস্যাটি তৈরী হয়েছে। গ্রামাঞ্চলে বিভিন্ন গাছের ডালে বিদ্যুতের তারের সংযোগ ঘটার কারণে অটো সুইজগুলি হরহামেশা পড়ে যাচ্ছে আর তখনই বিভ্রাট ঘটছে বিদ্যুতের। সাপাহার হতে আলাদা লাইন বের করে পতœীতলার নিরমইল ইউনিয়নে পৃথক সংযোগের মাধ্যমে অচিরেই এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলেও তিনি সাপাহারবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন।