নাটোরের লালপুরে বর্ষায় কাদায় লুটোপুটি শিক্ষার্থীরা

নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিম চিলান ইউনিয়নের হোসেনপুর থেকে পালোহার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত দুরত্ব মাত্র দু কিলোমিটার। কিন্তু গ্রীষ্মকালে ধুলা ওবর্ষায় কাদায় লুটোপুটি খেয়ে বছরের পর বছর ধরে বিদ্যালয়ে আসে হোনেপুর ও আশেপাশের গ্রামের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।শুধু শিক্ষার্থী নয় সকল জনসাধারণকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে দারুন অসুবিধায় পড়তে হয়। শুধু ওই রাস্তা নয় একই দশা পাশ্ববর্তীর্ পানঘাটা থেকে নাওদাঁড়া ও ভবানিপুর থেকে ছোট পালার রাস্তা গুলোর।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তাগুলোতে হাটু পর্যন্ত কাদা হয়। ফলে রাস্তা গুলো তখন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। গ্রামের বাসিন্দা নিলয় ইসলাম জানান, রাস্তাগুলো দিয়ে তিন চার গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। গ্রীষ্ম কালে রাস্তায় গুলোতে যেমন ধুলো হয়, তেমনি বর্ষা কালে জামা হয় হাঁটু পরিমান কাদা। কাদায় লটোপুটি খেতে খেতে বিদ্যালয়ে আসে শিক্ষার্থীরা। এছাড়া গ্রামের কোনো মানুষ অসুস্থ হলে মৃত ব্যাক্তির মত খাটিয়াতে করে পাকা রাস্তা পর্যন্ত এনে তার পরে সেখান থেকে হাসপাতালে নিতে হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে রাস্তাগুলো জরুরী ভিত্তিতে মেরামত করার দাবী জানান তিনি।
পালোহারা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদরত আলী জানান, রাস্তায় কাদার কারনে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসতে খুবই কষ্ট হয়। বৃষ্টি হলে অনেক সময় শিক্ষার্থীরা কাদা মাড়িয়ে বিদ্যালয়ে আসতে পারেনা, রাস্তাটি পাকা করণ খুবই জরুরী।


রাস্তা গুলোর বিষয়ে ১০ নং কদিমচিলান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা মাষ্টার রাস্তাটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে জানান, ওই রাস্তার জন্য এলজিইডিতে বার বার প্রকল্প দেয়া হয় কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই রাস্তার প্রকল্প পাশ হয়নি। বাকি রাস্তা গুলোর একটিতে এইচবি ও অপরটিতে পাকা করণের আংশিক কাজ চলছে।