অস্তিত্ব নেই খালের! লালপুরে ১৬শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে

নাটোর প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার মধ্যবর্তী ভবানীপুর বিলে ব্যাপক জলাবদ্ধতায় প্রায় ১৬শ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধ দখলের ফলে বিলটির বর্ষাকালীন পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি সরকারি খাল থাকলেও বর্তমানে তার অস্তিত্ব নেই।
কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছর বর্ষায় পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় শতশত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন তারা। অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই জলাবদ্ধতার নিরসন না হলে এই এলাকার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মূখে পড়বে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ভবানীপুর বিল থেকে পানি নিষ্কাষনের জন্য খালটি বহমান হয়ে উপজেলার ওয়ালিয়া পশ্চিম মন্ডলপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে খলিষাডাঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম সীমানার অংশ খনন/সংস্কার করা হয়। তবে লালপুর সীমানায় খালের যে অংশটুকু পড়েছে তার কিছু অংশ বিভিন্ন অস্থায়ী এবং স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে প্রভাবশালীরা। এতে বড়াইগ্রাম অংশের পানি লালপুর অংশে জমা হয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। এতে ভবানীপুর-আটঘরি মাঠের প্রায় ১৬’শ বিঘা ধানসহ বিভিন্ন ফসল হুমকির মূখে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল হোসেন ও কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, বার বার তাগাদা দেওয়া সত্বেও খাল সংস্কার না করায় প্রতিবছরেই হালকা বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালটি সংস্কার করা হলে দুই উপজেলার হাজার হাজার বিঘা ফসলের জমি ও বসত ভিটা রক্ষা পাবে। বিষয়টি সমাধানে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এদিকে, গত ১২ অক্টোবর দুই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য লিখিত আবেদন দিয়েছে এলাকাবাসী।
এবিষয়ে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান ও বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করা হবে।