পাঁচ বছর ধরে শাবনূরের বাসার সামনে গোলাপ ফুল রেখে যান একজন!

দেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর। নব্বই দশকের এক সোনালি সময়ে রুপালি পর্দায় পা রাখেন তিনি। এরপর দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেল তিন দশকেরও বেশি সময়। নিজের গ্ল্যামারের একটুও বিচ্যুতি ঘটেনি নায়িকার, পর্দায় এখনও নিজেকে রাঙিয়ে তুলছেন নতুনের মতো করেই।
। সেখানে সন্তানদের নিয়ে থিতু হয়েছেন শাবনূর। তবে দেশেও আসেন নিয়মিত। শোনা যাচ্ছে, দেশে ফিরলেই রঙ্গনার বাকি কাজ শেষ করবেন তিনি।

এই মুহূর্তে সিডনিতেই অবস্থান করছেন শাবনূর। সেখান থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি ভাগাভাগি করে নেন নব্বই দশকের এই গ্ল্যামার কুইন। তবে বেশ কিছুদিন ধরে নায়িকাকে ফুল নিয়ে ফটোশ্যুট করতে দেখা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফুল নিয়ে শাবনূরকে নিয়মিত পোস্ট দিতে দেখা গেলেও এই ফুল নিয়ে এক অদ্ভুত ঘটনা রয়েছেতার জীবনে। এক ব্যক্তি শাবনূরের বাসার সামনে নিয়মিত গোলাপ ফুল রেখে যান! গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে গল্প তুলতেই খানিকটা রহস্যই রেখে দিলেন নায়িকা।

শাবনূরের কথায়, ‘পাঁচ বছর ধরে প্রায় দিনই একটি ছেলে বাসার সামনে গোলাপ ফুল রেখে যাচ্ছে। যখনই সে আমার বাসার এদিক দিয়ে যায়, গোলাপ ফুল রেখে যায়, দরজার কাছে। এটি আমার খুব ভালো লাগে। প্রায় দিনই বাসার গেট খুললেই দেখতে পাই বাইরে গোলাপ ফুল রাখা। তখন বুঝি, সেই মানুষটি দিয়েছে। সেই গোলাপের পাপড়ি ছিঁড়ে পানিতে রাখি, এত বছরে আমাকে যত গোলাপ দিয়েছে, সব পাপড়ি আমি বোতলে ভরে রেখে দিয়েছি।’

তবে সেই অজ্ঞাত ব্যক্তিকে শাবনূর চেনেন বলেও জানান। রহস্যটা এখানেই রেখেছেন যে, শাবনূর সেই গোলাপ ফুল রেখে যাওয়া মানুষটির বিস্তর কিছু প্রকাশ করলেন না। বললেন, ‘সে আমার মারাত্মক লেভেলের ভক্ত, এখন অনেক পরিচিত আমরা। নামটা বলতে চাই না।’

প্রসঙ্গত, প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার এহতেশাম পরিচালিত ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন ঘটে শাবনূরের। প্রথম ছবি ব্যর্থ হলেও পরে প্রয়াত নায়ক সালমান শাহের সাথে জুটি গড়ে ব্যাপক সফলতা পান। একে একে এ জুটি সুপারহিট ছবি দিতে থাকে। সালমানের অকাল মৃত্যুতে শাবনূরের ক্যারিয়ার হুমকির মুখে পড়ার পর রিয়াজ, শাকিল খান, ফেরদৌস আহমেদ ও শাকিব খান এর সাথে জুটি গড়ে বেশ কিছু ছবি উপহার দেন। দীর্ঘ ৩১ বছরের ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন শাবনূর। তার মধ্যে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘ভালোবাসি তোমাকে’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘বউ শাশুড়ির যুদ্ধ’, ‘হৃদয়ের বন্ধন’, ‘মোল্লা বাড়ীর বউ’ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।