বিবাহবিচ্ছেদের পথে হ্যারি-মেগান!

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সাসেক্সের ডিউক যুবরাজ হ্যারি এবং ডাচেস অব সাসেক্স মেগান মার্কেলের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। জানা যাচ্ছে, প্রিন্স হ্যারি এবং মেগানের মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। প্রিন্স হ্যারি মেগানের নিয়ন্ত্রণ মানতে চাইছেন না।

আরো জানা যায়, প্রিন্স হ্যারি তার সন্তানদের তার পরিবার এবং দেশ সম্পর্কে জানাতে চান, যাতে মেগানের তেমন একটা মত নেই। এই গুঞ্জনের মধ্যেই খবর প্রকাশিত হয়েছে যে পর্তুগালে একটি বাড়ি কিনতে যাচ্ছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান দম্পতি।

যে কারণে বিচ্ছেদের গুঞ্জন: বিনোদনসংক্রান্ত অনলাইন সংবাদমাধ্যম রাডারঅনলাইনের খবর অনুযায়ী, ডিউক অব সাসেক্স সম্প্রতি আফ্রিকার লেসোথোতে তার ৪০তম জন্মদিন পালন করেন বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। যেখানে তার পরিবার উপস্থিত ছিল না।

সাংবাদিকের নিশ্চিত ধারণা, হ্যারির এই কাজই প্রমাণ করে তার সঙ্গে মার্কেলের সম্পর্কে চিড় ধরে গিয়েছে। রাজদম্পতি এতকাল বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যুগলেই যেতেন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তাদের একসঙ্গে আর জনতার মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। স্টার ম্যাগাজিন লিখেছে, হ্যারি আফ্রিকা ছাড়াও নিউ ইয়র্কেও একা গিয়েছিলেন। যেখানে তাকে বেশ হাসিখুশি এবং খোলামেলা লেগেছিল। সূত্র মতে, হ্যারি এবং মেগান পরীক্ষামূলকভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের পথে চলেছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন তাদের সম্পর্ক আর টেকার পথে যাবে না। জানা গেছে, ৪৩ বছর বয়সি মেগান মার্কেলের অতি নিয়ন্ত্রণবাদী মনোভাবের সঙ্গে এঁটে উঠতে পারছেন না যুবরাজ।

এদিকে, ক্যালিফোর্নিয়াতে প্রিন্স আর্চি এবং প্রিন্সেস লিলিবেটের সঙ্গেই রয়েছেন মেগান মার্কেল। শারীরিক অসুস্থতার কারণে নাকি স্বামীর সঙ্গে নিউ ইয়র্কে যেতে পারেনি মেগান। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি আসন্ন নেটফ্লিক্সের শো এবং ব্র্যান্ডের কাজ নিয়ে ব্যস্ত। যদিও হ্যারি ও মেগানের বন্ধুরা সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, এখনো আদর্শ এবং সুখী দম্পতি হিসেবেই রয়েছেন দুই জনে। তবে পেশাগত দিক থেকে ভিন্ন রাস্তা বেছে নিয়েছেন তারা।

পর্তুগালে বাড়ি কিনছেন হ্যারি দম্পতি

হ্যারি এবং মেগান মার্কেল তাদের বিচ্ছেদের গুজবের মধ্যে সন্তান আর্চি এবং লিলিবেটের জন্য একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন একজন রাজকীয় বিশেষজ্ঞ। রাজকীয় বিশেষজ্ঞ জেনি বন্ড প্রিন্সেস ইউজেনির কাছে পর্তুগালে বিলাসবহুল বাড়ি কিনতে মেগান এবং হ্যারির সিদ্ধান্তের বিষয়ে তার মতামত প্রকাশ করেছেন। জেনি বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি এটি সম্ভবত পরামর্শ দেয় যে তারা চান তাদের সন্তানরা তাদের ব্রিটিশ পরিবারের অন্তত কিছু জানুক। ইউজেনি হলেন হ্যারির চাচা প্রিন্স অ্যান্ড্রুর মেয়ে।

জেনি জানান, আর্চি এবং লিলিবেটের জন্য তাদের বাবার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় কাটানোটা ভালো হবে এবং ইউজেনি, হ্যারি এবং তার পরিবারের বাকি সদস্যদের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগসূত্র থাকবে।’ জেনি আরো জানান, আমি ঠিক জানি না কেন তারা মনে করেন যে তাদের একটি জায়গা কেনা দরকার। যদিও হ্যারি এর আগে নিজের আর্থিক সংকটের কথা বলেছিলেন। শুধু জ্যাক এবং ইউজেনির সঙ্গে থাকতে একটি জায়গা ভাড়া করার পরিবর্তে তারা একটি বাড়ি কিনে ফেলতে চান।

এর মাধ্যমে ধারণা করা হয় যে তারা আটলান্টিকের এই দিকে আরো বেশি সময় ব্যয় করতে চায়।’ এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কারণ এতে বোঝা যায় যে শিশুরা কেবল আমেরিকান সংস্কৃতিতে নিমজ্জিত হবে না, বরং তাদের ইউরোপীয় শিকড় সম্পর্কে আরো ভালো বোঝার অধিকারী হবে বলে মনে করেন জেনি।—জিও টিভি ও হিন্দুস্থান টাইমস