হেমন্তের নক্ষত্র

এনামুল হক টগর

প্রবাহমান নদীর বেলাভূমিতে দাড়িয়ে নিঃশব্দ ভালোবাসার এই বিদগ্ধ জীবন।
বেলাশেষে আঁধারের প্রত্যাশায় চন্দ্র জেগে উঠবে জ্যোৎস্নায় নদীর কুলকুল ধ্বনি।
মুক্ত আকাশ হেমন্তের সকালে কিষাণ লাঙ্গল হাতে ছুটে যাবে কৃষাণীর খামারে চাষাবাদ।
উদ্যম আলোর চেতনায় প্রিয়তম বাঁশি বাজাবে ভালোবাসায় প্রচীন নদ!
হৃদয়ে আলোর প্রজ্ঞা হিমালয়ের বাতাসে বিন্দু বিন্দু শিশির ঝরে ঝর্ণার স্রোত বহমান।
পৃথিবীর আহবান ভোরের আভরণে দূর্নিবার মানবতার মিছিলে সু-ষমবন্টন শ্লোগান।
মৃত্তিকার সমস্ত বেদনা বুকে নিয়ে প্রগতিশীল প্রচেষ্টায় আমাদের বহুদূর সংগ্রামী জীবন-
তুমি আর আমি সূর্যের আলোকিত রৌদ্রে হেঁটে যাবো কর্মজীবীর আসীম চেতনা।
তোমার হৃদয়ে অনাবিল কর্মপ্রচেষ্টায় শ্রমজীবী আমি সুদূর সমুদ্র আকাশে দূর্বিনীত নয়ন!
অন্ধকার মৃত্যু থেকে আমাদের নব নব জন্ম আমাদের নব নব প্রাণ জেগে উঠবে অনন্ত।
নিমগ্ন চৈতন্যে আমাদের যুগল আত্মা গভীর প্রেমে মিশে বিশোধন জ্ঞানে জাগ্রত।
হেমন্তের হাওয়ায় সোনালী ফসল দোলে প্রাচীন ইতিহাস থেকে কবিরা কালপুরুষ!
অমৃত নক্ষত্রের অগ্নিপরিধি আলোর বুকে আমরা বিদগ্ধ চেতনার গুপ্তজ্ঞান!
সেই প্রজ্ঞায় আর্দশ সভ্যতাকে আলিঙ্গন করি সহস্র বছরে ভালোবাসার অমৃত বন্ধন।
গুপ্তজ্ঞান বলয়ে আমরা দুজন চক্রাকারে ঘুরি হেমন্তে দর্শন মিলনের প্রতিক্ষা আশ্বাস।
প্রকৃতির মহৎ প্রেমে হঠাৎ দুজন সূর্যের আলোয় জেগে উঠবো মুক্ত অরণ্যে নিঃশ্বাস!
নিকৃষ্টের ভেতর থেকে গবেষণায় খুঁজে পাবো উৎকৃষ্ট স্বর্ণ রৌপ্য মূল্যবান খনিজ সম্পদ!
মাটির জৈব শক্তি রসায়ন শক্তি ভয়ংকর বিষ শক্তির ব্যবহারে শস্যের হবে উৎপাদন আবাদ।
দূর থেকে হেমন্তের মৃদু বাতাস।
আকাশ ছুঁয়ে অন্তরে প্রম জাগাবে তত্ত্বজ্ঞানে জীবন যৌবনের গভীর ভালোবাসা।
সিরাজ নগর ও তিলোত্তমা নগরের বুকে নীহারিকা প্রিয়তম দীর্ঘ অপেক্ষায় বিহবল।
তারাভরা রাতে কোন একদিন দেখা হলে হঠাৎ অরণ্য বিজন বোনে কথা হবে নির্মল!
আমরা সবুজের মাঠে বেয়ে হেঁটে যাবো দূর বহুদূর প্রকৃতির যৌবন চঞ্চল।
সাগরের ঢেউয়ে ঢেউয়ে সৈকতে খেলা করবো অনাগত ভবিষ্যৎ নতুন প্রাণের কল্লোল।
আত্মচেতনার সভ্যতায় রাতের আঁধার ভেঙে আমরা বিপ্লবী মিছিলে জীবনের অধিকার।
হেমন্তের নক্ষত্র ভরা রাত থেকে নতুন আলোর প্রভাত জেগে উঠবে সূর্য দীপ্ত রৌদ্রের।
২০/১০/২০২৪