কোহলি খেলতে না পারলেই দোষ আনুশকার!

২০১৩ সালে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ের সময় প্রথম দেখা হয়েছিল বিরাট- আনুশকা শর্মার। সেখানেই প্রেম শুরু। সম্পর্কের কথা কোনো দিনই গোপন করেননি এই দুই তারকা। বর্তমান সময় ভারতের সবচেয়ে বড় ‘পাওয়ার কাপল’ হয়ত তারাই। স্বামী-স্ত্রী দুজনই তারকা হলে যা হয়, প্রতিনিয়ত দুজনকে নিয়ে আলোচনা যেমন হয়, সমালোচনাও কম হয় না। আনুশকার জন্য বিরাটকে, বা বিরাটের জন্য আনুশকাকে টেনে এনে অপ্রাসঙ্গিকভাবে কথা বোলার মানুষও কম নেই।

বিভিন্ন সময় দু’জনকে একসঙ্গে গ্যালারিতেও দেখা যায়। একটা সময় ছিল যেখানেই যেতেন বিরাট, সঙ্গে দেখা যেত আনুশকাকে। এ কারণে অনেকেরই চক্ষুশূল হতে হয় অভিনেত্রীকে। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মাত্র ১ রান করেন বিরাট। সেই সময় ক্রমাগত সমাজিক মাধ্যমে হেনস্তা হতে হয় এই অভিনেত্রীকে। গোটা বিষয়টা যখন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায় তখন পাল্টা উত্তর দেন অভিনেত্রীও।

তবে বলিউডপাড়ায় ক্রমাগত এমন সমালোচনার মুখে পড়ে নাকি সম্পর্কচ্ছেদের সিদ্ধান্তও এক সময় নিয়েছিলেন আনুশকা। সেই সময় তিনি ব্যস্ত ছিলেন সালমান খানের সঙ্গে ‘সুলতান’ ছবির শুটিংয়ে।

শেষ পর্যন্ত ২০১৮ সালে ইটালিতে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বিরাট-আনুশকা। তার আগে এক সাক্ষাৎকারে আনুশকা জানান, তাকে গালমন্দ করে লাভ নেই। অভিনেত্রীর কথায়, তারা সকলেই পেশাদার। ছোট বয়স থেকে ক্রিকেট খেলছেন। ক্রিকেটই জীবন। যারা বলছেন, বিরাট নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সচেতন নন, তাদের বলি নিজের চরকায় তেল দিন।

বরাবরই ঠোঁটকাটা আনুশকা। তবে সে সব সময় অতিক্রম করে এখন স্বামী-স্ত্রী ছাড়াও ভামিকা ও অকায়ের অভিভাবক তারা। দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে লন্ডনেই সংসার পেতেছেন চর্চিত দম্পতি।