বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
বড়াইগ্রামে মসজিদের মাইকে সহযোগিতা চেয়ে ঘোষনা দিয়েও হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের হাত থেকে বাড়িঘর রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। এমনকি মাইকে বাড়ি ঘরে হামলার খবর প্রচার করায় মসজিদের ভেতরেই শতবর্ষী অন্ধ মুয়াজ্জিনকে মারপিট করে হামলাকারী কথিত বিএনপি নেতা কর্মীরা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় উপজেলা বড়দেহা গ্রামে সংবাদ সম্মেলন করে এসব ঘটনার বিচারের দাবী করেন ভুক্তভোগী পরিবার। এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অভ্যূত্থানের দিনে উপজেলার নগর ইউনিয়নের বড়দেহা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বড়দেহা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সাইফুল। এ সময় সেখানে তার পিতা আব্দুর রহমান (১১৫), ভাই আব্দুর গফুর ও আব্দুল আজিজ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম সাইফুল বলেন, আমাদের পরিবারের সদস্যরা বিএনপি করে। অথচ ৫ আগষ্ট বিকেলে কুরশাইট গ্রামের বাসিন্দা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জন আমাদের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তারা আমাদের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে এবং একটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় সাইফুল ইসলামের বাবা শতবর্ষী অন্ধ মুয়াজ্জিন মসজিদের মাইকে সহযোগিতা চেয়ে গ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানালে হামলাকারীরা মসজিদে ঢুকে তাকে অমানুষিক নির্যাতন করে এবং মাইক ভাংচুর করে। তাদের মারপিটে পরিবারের মহিলাসহ ৯ জন সদস্য আহত হন। ঘটনার প্রায় একমাস পরেও চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তারা। হামলার আশঙ্কায় এ পরিবারের তিনজন শিক্ষকসহ শিশু সন্তানরা স্কুলে যেতে পারছে না। পরিচর্যার অভাবে তাদের প্রায় ১০ বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি থানায় যেতেও বাধা দিচ্ছেন তারা। এ অবস্থায় বাড়ি ঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের বিচারসহ জীবনের নিরাপত্তার দাবী করেন তারা।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত হাফিজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিন কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ, এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নয়।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফিউল আযম খান বলেন, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।