মিরপুর হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদরাসা নিয়ে বিরোধ : মসজিদের মুসল্লিদের উপর হামলা

// মৌলভীবাজার প্রতিনিধি : মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের “মিরপুর হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদরাসা” ও মসজিদের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৭ আগষ্ট জুম্মা নামাজের পূর্বে মসজিদ এলাকায় দেশীয় অস্ত্র রাম দা, হকিস্টিক ও লাটি নিয়ে মুসল্লিদের উপর হামলা করার অভিযোগ উঠেছে। এতে জুবায়ের আহমদ (৬৫), জুনেদ জামান, ছালেহ আহমদ, খিজির মো: জুলফিকার, ছাদি আহমদ, তায়েফ আহমদসহ তাদের অন্যান্য লোকজন গুরুতর আহত হন। অপরদিকে, প্রতিপক্ষের-আব্দাল মিয়া, আজমাল মিয়া, সালমন আহমদ ও আব্দুল ওয়াদুদসহ উভয় পক্ষে অন্তত ১৪জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মিরপুর হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদরাসা-এর সহ-সভাপতি ও ভূমি দাতার ছেলে জুবায়ের আহমদ বাদী হয়ে- আসাদ আল হোসাইন (৬০), আব্দুল অদুদ (৪৭), মো: রাসেল (২৮), মো: রাজুল (২৬), বিলাল উদ্দিন (৪৭), আব্দাল মিয়া (৬০), আজমল মিয়া (৫৮), জামাল মিয়া (৪৭), লিয়াকত মিয়া (৪৮), আনোয়ার মিয়া (৪৮), আরমান মিয়া (২০), সালমান মিয়া (১৯), গোলাম মৌলা (২৮)গং অজ্ঞাতনামা ৭-৮জন নাম উল্লেখ করে মৌলভীবাজার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ (মামলা নং-৫/২২০, তারিখ : ১৭/০৮/২০২৪ইং) দায়ের করেছেন। অপরদিকে, প্রতিপক্ষ অর্থাৎ মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আসাদ আল হোসাইনের পক্ষ থেকে ও থানায় পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুত্র জানায়-কমিটিকে না জানিয়ে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল, ব্যাংকে টাকা জমা না রাখা, অনুমোদনহীন ব্যয় ভাউছার তৈরি করা, সংগৃহিত অর্থ খাতায় লিপিবদ্ধ না করা, দীর্ঘ সময় দেশের বাহিরে অবস্থান, একাধিক মাদ্রাসার মুহতামিম (প্রধান শিক্ষক) হিসেবে দায়িত্ব পালন, নিজের খেয়াল খুশিমতো চলাফেরা, প্রতিষ্ঠানের নামের সাথে তার বাবার নামে স্মৃতি বিজড়িত হিসেবে সংযুক্ত করা, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয় এর হিসাব চাইলে গুম করার হুমকি প্রদান, কমিটির অনুমোধন ছাড়া রশিদ বই ছাপানো, সৌদি আরব অবস্থান, পাকিস্থানে লেখা-পড়া করা, ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম নিয়োগে ব্যবস্থাপনা পরিষদের অনুমোদন না নেয়াসহ হিংসাত্মক আচরণ ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠে মিরপুর হোসাইনিয়া আরাবিয়া মাদরাসার প্রধান শিক্ষক (মোহতামিম)এর বিরুদ্ধে। মাদরাসার আয়-ব্যয় আত্বসাৎ এর অভিযোগে উক্ত মাদরাসা কমিঠির পক্ষ থেকে মৌলভীবাজার ১নং আমল গ্রহণকারী আদালতে ১৬৭/২৪ (সদর) মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নন জিআর ২৩/২০২৪ (সদর) মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার অস্থাবর মালামাল ক্রুক করার দির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদাদলত। মৌলভীবাজার মডেল থানার এএসআই রানা মিয়া আদালতের নির্দেশে অস্থাবর মালামাল ক্রুক করতে তার বাড়ি মিরপুরে যান।