// ইয়ানূর রহমান : যশোরে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা বিক্ষোভ করেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সরকারি এম এম কলেজ থেকে আসা একটি মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা হামলা মাসুম নামে এক সংগঠককে ধরে নিয়ে গেছে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের একদফা দাবিতে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা দুপুরে শহরের পালবাড়ি থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ে সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এ সময় সরকারি এম এম কলেজের শিক্ষার্থীরাও মিছিল নিয়ে সেখানে যান।
এর আগে, শহরের মুজিব সড়কে আন্দোলনকারীরা যশোর প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। অবস্থান চলাকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠক রাশেদ খান অভিযোগ করেন, সরকারি এম এম কলেজ থেকে আসা একটি মিছিলে হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের কর্মীরা। তারা কয়েকটি মোটরসাইকেলে এসে মিছিলে থাকা
শিক্ষার্থীদের হেলমেট দিয়ে মারধর করে এবং তাদের ব্যানার ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ওই সময় এম এম কলেজের শিক্ষার্থী ও সংগঠক মাসুমকে তুলে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাককে কয়েক দফা ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে তিনি কল ব্যাক করে জানান, একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে আছেন। বলেই ফোন কল কেটে দেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, তারা প্রধানমন্ত্রীর ‘অযৌক্তিক বক্তব্যের’ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে সব ধরনের কোটার সংস্কার চান। স্কুল-কলেজ, চাকরি সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। কিন্তু সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।#