// হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৩ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
বুধবার সকালে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, নজরুল ইসলাম (৪৫), নুরজাহান বেগম (৩০) ও সুফিয়া বেগম (৩২)।
বৃহস্পতিবার সকালে আহতদের মধ্যে নজরুল ইসলামের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা করেন। বর্তমানে নজরুল ইসলাম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় এজাহার দায়ের করার পর থেকে আসামীরা বাদীর পরিবারকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে মোজাহার আলীর পরিবারের সাথে স্থানীয় হানিফ মন্ডলের পরিবারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। জমিটি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মিটিং হওয়ার কথা ছিল কিন্তু প্রতিপক্ষ সেই মিটিংয়ে উপস্থিত হননি।
এরইমধ্যে বুধবার সকাল ১০টায় হানিফ মন্ডল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ তার লোকজন নিয়ে বাড়ির সীমানায় থাকা সুপারী, জাম্বুরা, মেহগনিসহ ২৫টি গাছ কেটে ফেলে। এছাড়াও সীমানায় থাকা টয়লেট ও বাউন্ডারি ভাংচুর করে।
মোজাহার আলী ও তার পরিবারের লোকজন তাদের এ অন্যায় কাজের বাঁধা দিতে আসলে বিবাদীগণ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এসময় মোজাহার আলীর স্ত্রী নুরজাহান বেগমের গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে তাদের চিৎকারের এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে এবং রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করান।
গাছ , টয়লেট ও বাউন্ডারি ভাংচুর এবং স্বর্ণের চেইন বাবদ আহতদের পরিবারের ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন হয়।
এ ঘটনায় মোজাহার আলী (৩৯) বাদী হয়ে ওই গ্রামের মৃত কাবিল মন্ডলের ছেলে হানিফ মন্ডলসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক আরো ৭/৮ অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় একটি এজাহার দাখিল করেছেন।
এজাহারে অভিযুক্ত অন্য ব্যক্তিরা হলেন, হানিফ মন্ডলের ছোট ভাই মো. হামেদ আলী (৪২), ফারুক মিয়া (৩৬), হানিফ মন্ডলের ছেলে মমিনুল ইসলাম (২২), বাহার উদ্দিনের ছেলে রাব্বী মিয়া(১৯), হানিফ মন্ডলের স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৪০), মিয়ার স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম (৩০)। তারা সবাই উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তর সাহাবাজ গ্রামের বাসিন্দা।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহবুর আলম বলেল, ‘জমি-জমা নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।