ওসমান গনি,বেড়া (পাবনা) প্রতিনিধি.
পাবনা উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে যমুনা নদীর পানি অত্যাধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় পাবনার বেড়া উপজেলার চরাঞ্চল সহ নদীর তীরবর্তী বিভিন্ন নিম্ন এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
উপজেলার চর নাকালিয়া , চর সাঁড়াশিয়া , চর নাগদাহ , চর সাফুল্লা মৌজা সহ বিভিন্ন এলাকায় চাষকৃত শত শত বিঘা জমির চিনা বাদাম, তিল সহ বিভিন্ন সবজি ফসলের ক্ষেত পানিতে ডুবে গেছে। এছাড়া ঢলের পানিতে গ্রামীণ রাস্তাঘাট গুলোতে পানি জমে থাকায় জন দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। অপরদিকে যমুনার অব্যাহত ভাঙ্গনে উপজেলার চর নাগদাহ গ্রামে প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি ও বসতবাড়ি। ভাঙ্গন রোধে ইতোমধ্যে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জরুরি ভিত্তিতে বালিভর্তি জিওব্যাগ নদীতে ডাম্পিং করলেও ভাঙ্গনরোধ হচ্ছে না বলে, স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহিদ মোল্লা সহ অনেকেই জানিয়েছে। চর নাগদাহ গ্রামের কৃষক ওমর মোল্লা জানান , প্রায় দুই বিঘা জমিতে পটল এবং কাঁচামরিচ চাষ করেছি , কিন্তু বিগত কয়েক দিনের ঢলের পানিতে সব তলিয়ে গেছে। এ ফসল বিক্রি করে তিনি গো-খাদ্যের দোকানে হালখাতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কিন্তু অসময়ে ঢলের পানি যেন তাঁর সে সিদ্ধান্ত চুরমার করে দিয়েছে। চর সাঁড়াশিয়া গ্রামের কৃষক আ. সাত্তার বেপারি বলেন , আমাদের চরাঞ্চলের মানুষের কাছে এক আতঙ্কের নাম ” ভাঙ্গন এবং অসময়ে ঢলের পানি “এ দুটি কারণে প্রতিবছর নদীর তীরবর্তী এবং চরাঞ্চলের বহু মানুষেকে ক্রমাগত সর্বস্বান্ত হতে হয়। আমাদের ভাঙ্গন দশা , ভাসমান জীবনের দুর্দশা দেখার কেউ নেই। মাঝে মাঝে সরকারি কর্মকর্তারা এসে লোক দেখানো দেখে যায় এবং নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় আসলে কাজের কাজ কিছুই হয় না। ঢলের পানিতে উপজেলার নিচু এলাকা গুলোতে ফসলের কতটুকু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুসরাত কবীর এ প্রতিবেদক বলেন , ডুবে যাওয়া নিম্নাঞ্চলের কোনো কৃষক এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি, তবে ঢলের পানিতে বেশ কিছু চিনা বাদাম খেত ডুবে যাওয়ার খবর পেয়েছি।