// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রামের মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলালকে মারপিট ও কার্যালয় ভাংচুরের মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আতিকুর রহমান মাষ্টারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আতিকুর রহমান উপজেলার তিরাইল গ্রামের বাসিন্দা মৃত বজলুর রহমানের ছেলে ও জোয়াড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবি মোখলেসুর রহমান মিলন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে আতিকুর রহমানসহ আসামী আনোয়ার হোসেন ও রাকিব হোসেন আদালতে আতœসমর্পণ করেন। পরে বড়াইগ্রাম আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোছা: আশরাফুন্নাহার রিটা শুনানী শেষে অপর দুই জনকে জামিন দিলেও আতিকুর রহমানের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে এ মামলার ৯ জন আসামীর মধ্যে ৬ জন কারাগারে রয়েছেন এবং তিনজন জামিনে রয়েছে বলে জানান তিনি।
মাঝগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল আজাদ দুলাল বলেন, গত ১৩ জুন ১৫-২০ জন ব্যাক্তি মাঝগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তার কাছে গিয়ে ভিজিএফ কার্ডের ৫০ ভাগ দাবি করে। কিন্তু তিনি তা দিতে অস্বীকার করলে দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাথাড়ি মারপিট ও তার কার্যালয় ভাংচুর করে।
বড়াইগ্রাম সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব জানান, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান বাদী হয়ে ৯ জনের নামে থানায় মামলা করেন। এরপর ৬ জন আসামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অবশিষ্ট তিনজন নিজে থেকে আদালতে আতœসমর্পণ করেছেন।