সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী সফিউল ইসলাম

// হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণার শেষ মুহূর্তে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. সফিউল ইসলাম আলম (আনারস প্রতীক)

শুক্রবার বিকালে পাঁচপীর বাজারস্থ তার নিজস্ব কার্যালয় সাংবাদিক, দলীয় নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীগণের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি ‘আনারস’ প্রতীক নিয়ে মাঠে ছিলেন।

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তার ব্যক্তিগত অসুবিধা জনিত কারণে এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন।

তিনি আরও বলেন, “প্রার্থিতা ঘোষণা দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পরও ব্যালটে আমার নামে বরাদ্দকৃত প্রতীক থেকেই যাবে। আর নির্ধারিত প্রতীকে প্রাপ্ত নগণ্য ভোট সংখ্যা সাময়িক অস্বস্তিকর ও বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে নিঃসন্দেহে। সেই সঙ্গে তার নির্বাচনী কর্মকান্ডের সহিত জড়িত যেসকল নেতাকর্মী, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্খী ও হিতাকাঙ্খী ছিলেন। তাদের সকলের কাছে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করছেন এবং সকলকে ধৈর্য্যধারণ করার জন্য সবিনয় অনুরোধ জানান।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘যেহেতু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময়সীমা চলে গেছে, সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। ব্যালটে তার প্রতীক থাকবে এবং নির্বাচন হবে। সেটা তাদের ব্যক্তিগত বিষয়। আগামী ২৯ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন রয়েছে।

১৫ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা ১৩৯টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। ভোট কক্ষের সংখ্যা রয়েছে ১ হাজার ২২টি। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৯ জন ও নারী ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১ হাজার ১৫৯  জন এবং হিজড়া ভোটার ১ জন। তুলনামুলকভাবে নারী ভোটারের সংখ্যা বেশি।