আটঘরিয়ায় মাদ্রাসা সুপারকে মারপিটের পর রুমে তালাবদ্ধ করে নির্যাতনের অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে

// নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবনার আটঘরিয়ায় এক মাদ্রাসার সুপারকে মারপিট করে অফিস কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতনের  অভিযোগ উঠেছে সভাপতির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আটঘরিয়া থানায় সভাপতিসহ ম্যানেজিং কমিটির ৫ সদস্যের নামে আটঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১৪ মে) সকাল ১১টার দিকে আটঘরিয়া উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের রোপনপুর দাখিল মাদ্রাসায়।

অভিযোগে জানা গেছে, মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভপতি মো: কুতুব উদ্দিনসহ একই মাদ্রাসার সদস্য মো: নাজমুল হক, মো: পাঞ্চাব আলী, মো: আমিরুল ইসলাম, মো: শুকুর আলী, মো: সাইদুল ইসলাম গংয়েরা মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটির সভা চলাকালিন সময়ে মাদ্রাসা সুপার মো: জামাল উদ্দনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে সভাপতির নের্তৃত্বে ঐ সদস্যরা মিলে সুপারকে এলাকপাথারিভাবে মারধর করে মাদ্রসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। পরে শিক্ষক ও এলাকবাসী তাকে উদ্ধার করে।

রোপনপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার মো: জামাল উাদ্দন অভিযোগ করে বলেন, মাদ্রসার শিক্ষক কর্মচারীদের এপ্রিল মাসের বেতন শীট প্রতি মাসের ৬ তারিখের মধ্যে ব্যাংকে জমা দেওয়ার নিয়ম থাকলেও সভাপতি বেতন শীটে সাক্ষর না করায় বেতন শীট ব্যাংকে জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। গত ১৪ মে (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় সভাপতিসহ ৫ সদস্য মাদ্রাসায় ঢুকে বেতন শীটে সই না করে আমাকে গালাগালিজ শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকে মারপিট করে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে রাখে।

প্রত্যক্ষদর্শী মাদ্রাসার অফিস সহকারী রুহুল আমিন বলেন, মিটিং চলাকালিন সময়ে সুপার ও সভাপতির মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সভাপতি কুতুব উদ্দিন সুপারকে মারধর শুরু করে। পরে মূল ফটকে সুপারকে একটি রুমে তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে।

এ বিষয়ে আটঘরিয়া থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হাদিউল ইসলাম বলেন, মাদ্রাসা সুপারকে মারধরের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার দৃষ্টি গোচরে এসেছে। উভয় পক্ষের মধ্যে সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। তবে বিষয়টি জেলা শিক্ষা অফিসারকে জানানো হয়েছে। তদন্ত পূর্বব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পাবনা জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ রোস্তম আলী হেলালী বলেন, আমি গতকাল বুধবার সারেজমিনে মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছি। বিষয়টির তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।