ঈশ্বরদীতে বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত পাঁচ ঘন্টা পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীর মুলাডুলি স্টেশনের সন্নিকটে ঢাকাগামী আন্তঃনগর বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনের দুটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার পাঁচ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ৮টায় ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলরুটে রেল যোগাযোগ সচলের পর দুর্ঘটনাকবলিত বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস ঢাকা অভিমুখে যাত্রা করে। এছাড়াও বিভিন্ন স্টেশনে আটকে থাকা ট্রেনগুলো যাতায়াত শুরু করে।

এরআগে বৃহস্পতিবার (০৯ মে) ভোর তিনটার দিকে ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের মুলাডুলি-চাটমোহর রেলস্টেশনের মধ্যে মুলাডুলি স্টেশন অতিক্রম করে আউটার সিগন্যালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। এসময় ঢাকার সাথে উত্তরাঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকটি ট্রেন আটকে পড়ায় যাত্রীরা পড়েন ভোগান্তিতে।

চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেনকে আহবায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্য অন্য দুইজনের মধ্যে রয়েছেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ক্যারেজ) মমতাজুল ইসলাম ও বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল।

বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডল জানান, ঈশ্বরদী-ঢাকা রেলপথের মুলাডুলি আউটার সিগন্যালের কাছে ঢাকাগামী আন্তঃনগর বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে ৫ নম্বর বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল। বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেস মিটার গেজের ট্রেন। রিলিফ ট্রেন মুলাডুলি পৌঁছার পর বুড়িমাড়ী এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা কবলিত ‘ঞ’ নম্বর বগিটি রেললাইনের পাশে মাটিতে রাখা হয়। পরে বিভিন্ন স্থানে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনগুলোর যাওয়া আসা শুরু হয়েছে।

ডিআরএম শাহ সুফী নুর মোহাম্মদ বলেন, পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরলস প্রচেষ্টায় রিলিফ ট্রেনটি পৌঁছানোর পর ৭টায় কাজ শুরু হয়। যথাসাধ্য প্রচেষ্টার কারণে মাত্র ১ ঘণ্টায় রেললাইন সচল হয়েছে। সিডিউল বিপর্যয় হওয়া ট্রেনগুলো চলতি সপ্তাহে নির্ধারিত সময় থেকে কয়েকঘণ্টা দেরিতে চলাচল করবে। সাপ্তাহিক বন্ধের পর সিডিউল টাইমে চলাচল করানো সম্ভব হবে।