// বিশেষ প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি প্রান্তে এসে এখন স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার পূর্ব শর্ত হলো ধূমপান থেকে দূরে থাকা, মাদক থেকে মুক্ত থাকা। সুস্থ মানবসম্পদকে দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করা। যেমন মাহাতাব বিশ্বাস তার জান্নাতবাসি সন্তানের নামে ফরিদুজ্জামান জামে মসজিদ ও মাত্রাসা। এই যে মহতি উদ্যোগ। এই মাদ্রাসায় কি তৈরি হবে? নৈতিক শিক্ষা আর মানবসম্পদ। আগে বলা হতো মওদুদি ইসলাম এ দেশে প্রচলন করে জঙ্গি তৈরি করা হতো। মাদ্রাসা মসজিদকে অন্যভাবে দেখা হতো। কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় রাষ্ট্র পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সমস্ত মসজিদ মাদ্রাসাকে সেই জায়গা থেকে দূরে আনতে সক্ষম হয়েছেন। এখন আর কেউ বলে না মাদ্রাসা জঙ্গি তৈরির কারখানা। এখন বলে মাদ্রাসা নৈতক শিক্ষা ও মানবতা তৈরির কারখানা। এটাই রাষ্ট্রনায়কের কাজ। আমরা রাজনীতি করি শুধু এমপি- মন্ত্রী, ডেপুটি স্পিকার, মহামান্য রাষ্ট্রপতি হওয়ার জন্য নয়। আমাদের রাজনীতি দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য। বাংলার মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, বাঙালি সকল জাতিকে নিয়ে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাথা উঁচু করে এগিয়ে যাবে সেই লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা তার ৫৫ বছরের জীবনের ১৪ বছর কারাগারের অন্তরালে থেকে আমাদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন, এদেশ দিয়ে গেছেন।
গতকাল শনিবার ২৬ রমজান বিকালে রাজাপুরে মাহাতব বিশ্বাস গ্রীন সিটির ভিতর ফরিদুজ্জামান জামে মসজিদ ও মাত্রাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও ইফতার মাহাফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. শামসুল হক টুকু এসব কথা বলেন।
তিনি মাহাতাব বিশ্বাস সাইন্স এন্ড টেকনোলজি প্রস্তাবিত (মাস্ট) ইউনিভার্সিটি’র চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ আলহাজ্ব মাহাতাব উদ্দিন বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে বলেন ৩/৪ বছর ধরে উনি আমাকে বলছেন একটা ইউনিভার্সিটি করবেন। আমাকে সেখানে প্রধান উপদেষ্টা করবেন। আমি দেখছি তিনি কি করেন। দেখে শেষে একটা ফিনিশিং দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
মাহাতাব বিশ্বাস রিয়েল এস্টেট লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ্ব মাহতাব উদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ইফতারের আগে আরও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আসম আব্দুর রহিম পাকন।
চ্যানেল আইয়ের স্টাফ রিপোর্টার আখতারুজ্জামান আক্তার’র সঞ্চালনায় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এডভোকেট বেলায়েত আলী বিল্লু, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন, পৌর মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি সাত্তার বিশ্বাস, ইছামতি নদী উদ্ধার আন্দোলন পাবনার সভাপতি অধ্যাপক এসএম মাহবুব আলম, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ডক্টর মনসুর আলম, ক্রিস্টাল গ্রুপের পরিচালক সেলিম সিদ্দিকী, সিএনএফ টিভির চেয়ারম্যান খালেদ আহমেদ, দৈনিক পাবনার বাণীর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রাহমতুল্লাহ দোলন, পাঠশালার সাধারণ সম্পাদক শিশির ইসলাম, জাগো নিউজ পাবনা জেলা প্রতিনিধি জুয়েল ইসলাম, সাংবাদিক এমএ খালেক, তুহিন শেখ, জেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদৎ আলী মুন্সি, পৌর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সামসুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুর রহমান শহীদ, জেলা ছাত্রলীগের সবেক সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম, কয়রা বাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি।