// নাজিম হাসান,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি:
রাজশাহীর রেলওয়েতে ময়লা ফেলার একটি ঝুড়ি কেনার কথা ছিল ৩৩৮ টাকায়। কিন্তু কেনা হয় ১৩ হাজার টাকায়। শুধু তাই নয় ৪৮৬ টাকার প্রতিটি হ্যাকসো ফ্রেম কেনা হয় ৩ হাজার ৪৫০ টাকায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে কেনাকাটায় এমন ভয়াবহ দুর্নীতি করে বিপুল টাকা লুটে নেওয়া প্রায় ৩ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের জিএম কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ছিলো দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইনের নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল এ অভিযান চালায়। এসময় দুদকের জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন এই প্রতিবেদকে জানান, সাম্প্রতিক বছর গুলোতে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কেনাকাটায় কয়েক কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি অডিট আপত্তিতেও উঠে আসে। সেই অভিযোগও অডিট আপত্তির প্রেক্ষিতে দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অভিযান শুরু করা হয়। অভিযানে তথ্য উপাত্ত ও নথি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কেনাকাটার বিভিন্ন নথি ও তথ্য যাচাই শেষে প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে পশ্চিম রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার জানান, কেনাকাটার ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূত কিছু হয়েছে কিনা দুদক সে বিষয়ে তদন্তে এসেছিলো। আমরা তাদের চাহিদা মত কাগজপত্র সংগ্রহ করেছি। উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়েতে বিভিন্ন কেনাকাটায় কয়েক শ কোটি টাকার দুর্নীতির চিত্র উঠে আসে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের নিরীক্ষায়। রেল কর্তৃপক্ষ এসব অডিট আপত্তি নিষ্পত্তি করতে পারেনি। দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিতহওয়ায় অবসরে যাওয়া কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার পেনশনসহ যাবতীয় পাওনা পরিশোধ করা হয়নি।#