গুপ্তধন


এনামুল হক টগর

বাঁশের বাঁশিটি সেই যে করে ভেঙে গেছে বেদনার বিচ্ছেদ জ্বালায়।
কিন্তু আমার প্রাণের বাঁশিটি কখনো ব্যথিত হয়নি অশ্রু ক্রন্দন বিরহ যাতনায়।
এক ঐশ্বরিক প্রজ্ঞা আমার হৃদয়ের গভীরে মহাচৈতন্যের বাঁশি বাজায় মধুর সুরেলা!
সেই বাঁশির প্রেম লহরীতে নূরের শিখা প্রজ্বলিত হয় জীবনের গুপ্তজ্ঞান দীপ্তকর!
অন্তরের পরিশুদ্ধ ভালোবাসাটুকো রাতের প্রত্যাশায় চেয়ে থাকে গভীর নিরবতায়!
কখনো নক্ষত্রের সাথে খেলা করে ওই দূর আসমান জমিন নীলিমায়।
তোমার মহিমার সৌন্দর্য ভরা চেতনা আমাকে ডাকে স্থির মনে অপলক নয়ন!
সেই কবে সমুদ্র দেখেছি সৈকত দেখেছি ঢেউয়ে ঢেউয়ে বালুচর দেখেছি রূপ রস জন।
গভীর দুঃখ কষ্টের দহনে আর কি সমুদ্র দেখা হবে ক্লান্ত প্রাণে কতো আকাঙ্ক্ষা বাসনা।
স্রষ্টার অনন্ত চৈতন্য আমার দেহের গভীরে আলো দেয় মহাসাগরের ঢেউ গুলো ছল ছল!
পৃথিবীর সব সমুদ্রগুলো হারিয়ে গেলেও এই হিয়ায় গভীরে সাগরগুলো দীপ্ত নির্মল!
পরম শায়খের অনুগ্ৰহে আমার অন্তরে এক মহাসমুদ্র কলতান সুর তোলে পূর্বাভাস মহা মিলন।
সেই কবে ভোরের সূর্য দেখেছি নতুন সকালের সাক্ষাৎ আলোতে ঝলমল রৌদ্রময় প্রাচীন দিন!
দেহের চারি পাশে গভীর অন্ধকার বন্দি আমি পৃথিবীর কারাগারে কতোদিন সূর্য দেখিনি।
এক ঐশ্বরিক রাহমানের অনন্ত দয়ায় আমার অন্তরে নতুন সূর্য রশ্মি শিখা জ্বলে অনাদি গুপ্তধন!
প্রতিদিন সে আমাকে আলো দেয় স্রষ্টার স্বরূপ প্রতিফলন আয়না থেকে মানব সত্তায়!
সেই কবে ফুলের বাগিচা দেখেছি তুমি আসতে গুপ্তজ্ঞান সৌরভে পুষ্প গোলাপ উদয়!
এখন ঊদ্যানে শুধুই মৌমাছি এখন বাগানে শুধুই বিরহের গান ধ্বনিত হয় বেদনাবিধুর!
আঁধারে পরাণ বন্ধু নিঃশব্দ আওয়াজ তুলে মাটির বুকে অশ্রু ঝরে করুন বিচ্ছেদের !
কিন্তু কি বিস্ময় এক মহাত্মার ঐশী জ্ঞান আমার অন্তর বাগিচায় দীপ্ত ফুল ফোঁটায়!
তুমি পুষ্প দিলে তুমি ফল দিলে তুমি মধু দিলে সুমিষ্ট মৃত্তিকার জগতে জীবন প্রেমময়!
এই দেহ কঠিন আঁধারে ঢাকা এই শরীর বড় অজানা অচেনা কোথায় আপন ঠিকানা।
এই হিয়ায় তুমি পুষ্প প্রকৃতির জ্বল জ্বল তারকা এই অন্তরে তুমি জ্যোতির্ময় চেতনা।
কতো নক্ষত্র কতো চন্দ্র কতো ধুমকেতু আলো ছড়ায় পূর্ণ কামেল ইনসান।
হঠাৎ ছদ্মবেশী মৃত্তিকার বুকে কে তুমি এসে আমাকে ডাক দিলে বিপুল চেতনা!
আর আমাকে ইশারা করলে প্রাণের রাখাল বাঁশি বাজাও নিরন্তর!
তোমার অবয়ব স্বরূপে আমি মিশে যাই একাকার আধ্যাত্মিক গুপ্তধনে দীপ্তকর।
২৯/০৩/২০২৪