// বিশেষ প্রতিনিধি:
রুশ রাস্ট্রীয় পরমাণু শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ মনে করেন যে, জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত টেকসই বৈশ্বিক উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে একটি আদর্শ সমাধান হতে পারে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তি। তিনি বর্তমানে রাশিয়ার সাইরিয়াস ফেডারেল অঞ্চলে অনুষ্ঠানরত ‘বিশ্ব যুব উৎসব ২০২৪’ এর অংশ হিসেবে আয়োজিত শিক্ষা ম্যারাথন ‘নলেজ’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন। যুব উৎসবটি রাশিয়ার সোচিতে ১-৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
রসাটমের গণমাধ্যম প্রেরীত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, লিখাচেভ তার বক্তব্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনের ক্ষেত্রে রসাটমের প্রচেষ্টা ও ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি জানান, যে বিশ্বে বর্তমানে ২৫টি পরমাণু প্রযুক্তি এক্সপোর্ট প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, যার মধ্যে ২২টি করছে রসাটম। তিনি রসাটমকে এক্ষেত্রে অবিসংবাদিত বিশ্ব নেতা হিসেবে উল্লেখ করেন।
আলেক্সি লিখাচেভ আরও বলেন, “শুধুমাত্র ৩+ প্রজন্মের রিয়্যাক্টর প্রযুক্তির ক্ষেত্রেই আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছি না, আমরা চতুর্থ প্রজন্মের পরমাণু প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। প্রাকৃতিক নিরাপত্তা ও ক্লোজড জ্বালানী চক্র নীতির ওপর ভিত্তি করে এই প্রজন্মের প্রযুক্তি কাজ করে থাকে। রাশিয়া হচ্ছে বর্তমানে একমাত্র দেশ যারা সত্যিকার্থেই চতুর্থ প্রজন্মের পরমাণু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে”। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, “পরমাণু প্রযুক্তির উন্নয়নে আমাদের দেশ মূল সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করছে”।
রসাটম মহাপরিচালক সংস্থাটির বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরতে গিয়ে নর্দার্ন সী-রুট, আইসব্রেকার নির্মান, কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরি, এবং রেডিও ফার্মাসিউটিক্যাল এর উৎপাদনের কথা উল্লেখ করেন।
বক্তব্যের শেষে লিখাচেভ বলেন, “আমাদের সকল প্রযুক্তি অবশ্যই জনমানুষের কল্যানে এবং মানবিক কারণে ব্যবহৃত হবে। মোদ্দা কথা হলো, আমরা মানুষের জন্যই কাজ করছি”।
বিশ্ব যুব উৎসব ২০২৪ এ প্রায় বিশ হাজার তরুণ ও যুবক অংশগ্রহণ করছে। তাদের প্রত্যেকেই শিক্ষা, বিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, সংস্কৃতি, স্বেচ্ছা শ্রম ও চ্যারিটি, ব্যবসা ও মিডিয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের কয়েক ডজন দেশের প্রায় দশ হাজার যুব প্রতিনিধিও রয়েছেন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে।