// লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি।।
কৃষকের সাড়ে ১৩কোটি টাকা পাওনা রেখে নাটোরের লালপুর উপজেলার নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেডের ৯১তম মাড়াই মৌসুমের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়েছে।
রবিবার (৩মার্চ ২০২৪) ভোর পৌনে চারটার দিকে আখ মাড়াইয়ের আনুষ্ঠানিক ভাবে সমাপ্ত ঘোষণা করেন। পর্যাপ্ত আখ না পাওয়ায় মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক খবির উদ্দিন মোল্ল্যা।
তবে মিল বন্ধ হলেও মিলের নিকট আগের মূল্য বাবদ চাষীদের সাড়ে ১৩ কোটি টাকা পাওনা রয়ে গেছে। এনিয়ে আখ চাষীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন।
মিলসূত্রে জানাযায় ২০২৩-২০২৪ আখ মাড়াই মৌসুমে ১০৩ কার্যদিবসে ১ লাখ ৮৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১২ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ও চিনি আহরণের হার শতকরা ৬.৬২% নিয়ে গত ১০নভেম্বর মিলটি চালু হয়। এবছর ১১৪ কার্য দিবসের মাড়াই মৌসুমে ১লাখ ৮৮হাজার ৬৩৩ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ১০ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করেছে মিলটি। চিনি আহরণের হার শতকরা হার ৫.৬৮%। যা বিগত ১০টি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ। নয়টি চিনি কলের মধ্যে আখ ক্রাশিং ৩০% এবং চিনি উৎপাদনে ৩৪% অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। গত মাড়াই মৌসুমে ৫২ কর্মদিবসে ৮১হাজার ৮২৯ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার ৪০৭ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়। চিনি আহরণের হার ছিল শতকরা ৫.৩৬ ভাগ।
গত ১০ বছরে রেকর্ড এবারই কারখানায় আখ সরবরাহ গড়ে প্রায় ১৩ মেট্রিক টন অর্জন হয়েছে। নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ইতিহাসে এবছরই প্রথম মিল জোন এরিয়াতে অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার শতভাগ বন্ধ রাখা সম্ভব হয়েছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আখ উৎপাদন, সরবরাহ এবং চিনি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস। এছাড়াও বাংলাদেশের একমাত্র আইএপি অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান নর্থবেঙ্গল সুগার মিলস।
মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ খবির উদ্দিন মোল্যা বলেন ১০ বছরে রেকর্ড এবারই কারখানায় আখ সরবরাহ গড়ে প্রায় ১৩ মেট্রিক টন অর্জন হয়েছে। মান সম্মত সার, কীটনাশক ও বীজ চাষিদের মধ্যে সরবরাহ, অবৈধ পাওয়ার ক্রাশার শতভাগ বন্ধ রাখা, আখ চাষি সহ মিলের সংশ্লিষ্ট সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে।