// মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার : রাজনগরে ২নং উত্তরভাগ ও ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের সোনাটিকি ও সুপ্রাকান্দি মধ্যবর্ত্তী স্থানে অবস্থিত বুড়িজুড়ি গাং শুকিয়ে মাছ নিধন করছেন ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের গবিন্দপুর এলাকার আছমত মিয়াসহ একটি প্রভাবশালী পক্ষ। কৃষকের ফসলী জমি ও মাছের বংশ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। সর্বশেষ এলাকাবাসীর পক্ষে- এ ঘটনায় আজ ১৪ ফেব্রুয়ারী রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন কমরু মিয়া নামীয় একজন কৃষক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজনদের মধ্যে ছমিরুন বেগম ও সাজিয়া বেগম বলেন- বুড়িজুড়ি গাং দিয়ে আমাদের হাঁস চলাচল করতো। কিন্তু, মাছ নিধনকারীরা আমাদের হাঁস বিষ দিয়ে মেরে ফেলেছে। এখন গাং শুকিয়ে মাছ নিধন করছেন। জমসেদ আলীসহ একাধিক কৃষক বলেন- গান শুকিয়ে গেলে শত শত কৃষকের ফসলী জমির ধান ও সবজির ক্ষতি হবে। বিষয়টি প্রশাসনকে একাধিকবার অবগত করা হয়েছে। কিন্তু, প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহন না করায় শুকিয়ে মাছ নিধন করা হচ্ছে। একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন- দীর্ঘদিন ধরে খনন না হওয়ায় ভরাট হয়ে গেছে। পানি ব্যবস্থাপনার জন্য খনন জরুরী। অপরদিকে, স্থায়ীভাবে মেশিন দিয়ে মাছ নিধন বন্ধ করতে হবে। তা হলেই কৃষক বাঁচবে। কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। ৩নং মুন্সিবাজার ইউনিয়নের ইউপি মেম্বার মোঃ নুরুল আমিন খান জানান- বিষয়টি স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চেয়ারম্যান-কে অবগত করা হয়েছে। সেচ দিয়ে পানি শুকানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হবে কৃষকের ফসল, গৃহপালিত গরু-মহিষসহ অন্যান্য জীববৈচিত্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন- অভিযোগ পেয়েছি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রায় ৪/৫দিন যাবৎ মেশিন দিয়ে পানি সেচ দিয়ে শুকানো হচ্ছে, স্থানীয় লোকজন বিষয়টি অবগত করার পরেও কোন প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হয়নি। এবং আজ সেচ দিয়ে মাছ নিধন করছে, কৃষক বিপুল পরিমান ক্ষতিগ্রহস্থ হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ প্রতিবেদক-কে বলেন- বিষয়টি দেখবো। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড.উর্মি বিনতে সালাম বলেন- আমি এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।