// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কিনেছেন ১৬ জন। এতে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেত্রী সহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরাও রয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সুত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
মনোনয়ন কেনা নারী নেত্রীরা হলেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও (নাটোর- নওগাঁ) একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী সদস্য রতœা আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নাটোর পৌরসভার মেয়র ঊমা চৌধুরী জলি, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আঞ্জুমান আরা বেগম (পপি), জেলা পরিষদের সদস্য লাভলী ইয়াসমিন, বাগাতিপাড়া উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খোদিজা বেগম শাপলা, নাসিমা বানু লেখা, নাটোর জেলা বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সদস্য আঞ্জুয়ারা পারভীন (রতœা), বাগাতিপাড়া মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ শাহিদা খাতুন, লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মহিলা বিষয়ক স¤পাদিকা কাজী আছিয়া জয়নুল বেনু, সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নিলুফার ইয়াসমিন, সুলতানা পান্না, জাহানারা বেগম,পারুল আক্তার।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে নাটোর পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি উমা চৌধুরী জলি হচ্ছেন প্রয়াত সংসদ সদস্য, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম সদস্য স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত শংকর গোবিন্দ চৌধুরী মেয়ে। ঊমা চৌধুরী জলির মা অনিমা চৌধুরী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী। ঊমা চৌধুরীর স্বামী বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আইন বোর্ডের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী। জলি ২০১৫সালে প্রথম এবং ২০২২ সালে দ্বিতীয়বারের মতো নাটোর পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও (নাটোর- নওগাঁ) আসনের একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী সদস্য রতœা আহমেদ এবারও দলীয় টিকেটে সংসদে যেতে চান। ৭ ফেব্রুয়ারি তারিখে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের আবেদন দাখিল করেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ এই নেত্রী।অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। মুক্তি নাটোর-৪ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুসের মেয়ে। মুক্তি আওয়ামী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সদস্য। মুক্তি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
আঞ্জুমান আরা বেগম (পপি) নাটোর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের অন্যতম একজন। ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে অতপ্রতভাবে জড়িত রয়েছেন এই নেত্রী। পপি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য।
লাভলী ইয়াসমিন বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য। লাভলী ইয়াসমিন সদর উপজেলা আওয়ামী যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এসব প্রার্থী মনোনয়নের জন্য হাইকমান্ডে জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেও ঢাকার অফিসেও দেখা যাচ্ছে তাদের।
সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী অ্যাডভোকেট কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি বলেন, আমি মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান। দলের যেকোনো বিপর্যয়ে রাজপথে থেকে মোকাবেলা করেছি। মাননীয় নেত্রী বিচার- বিশ্লেষণ করেই সিদ্ধান্ত নিবেন।
আরেক মনোনয়ন প্রত্যাশী বাগাতিপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খোদিজা বেগম শাপলা বলেন, নারীদের নিয়ে বিস্তৃতভাবে কাজের সুযোগ পাওয়ার প্রত্যাশায় আমি সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য পদে দলীয় মনোনয়ন ফরম ক্রয় করি। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বৃহৎ আকারে কাজ করার সুযোগ কম থাকায় সংসদ সদস্য হয়ে পুরো জেলার নারীদের উন্নয়নে কাজ করতে চাই । যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সেই দায়িত্ব প্রদান করেন তাহলে আমি প্রত্যাশা রাখি আমি আমার সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে কাজ করে যেতে পারবো।
এবিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। যারা মনোনয়ন চেয়েছেন তাদের অনেকেই ত্যাগী ও নির্যাতিত পরিবারের সন্তান। যারা দলীয় সুযোগ-সুবিধা কম পেয়েছেন তাদেরকেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য করবেন।।