// ছারছীনা থেকে মোঃ আবদুর রহমান : আমীরে হিযবুল্লাহ ছারছীনা শরীফের হযরত পীর ছাহেব কেবলা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা শাহ্ মোহাম্মদ মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.) বলেছেন- পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ঈমান ও নেক আমল আবশ্যক। যার নেক আমল যত বেশি হবে আল্লাহ তায়ালার কাছে তার সম্মান ও মর্যাদা তত বেশি হবে। এ জন্যই সাহাবায়ে কেরাম (রা.) নেক আমলের ক্ষেত্রে পরস্পরে প্রতিযোগিতা করতেন। হাশরের মাঠে মানুষের নেক আমল ও বদ আমল মিজানের পাল্লায় ওজন করা হবে। যার নেক আমলের পাল্লা ভারী হবে সে জান্নাতে সুখে ও শান্তিতে থাকবে। আর যার নেক আমলের পাল্লা হালকা হবে তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম।
দুনিয়াতে মানুষ নেক আমলের মূল্য বুঝতে পারে না। কিন্তু পরকালে নেক আমলের মূল্য ঠিকই বুঝতে পারবে তখন একটি নেকি কম থাকার কারণে হয়তো কারও জাহান্নামের ফয়সালা হতে পারে। সে তখন একটি নেকি লাভের আশায় তার পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও সন্তানদের কাছে যাবে। কিন্তু নেকি দেওয়ার ভয়ে কেউ পরিচয় দিতে চাইবে না।
নেক আমল কবুল হওয়ার প্রধান শর্ত হলো আক্বীদা সহিহ হওয়া। যার আক্বীদা সহিহ নয় এবং যার মধ্যে ঈমান পরিপন্থী বিশ্বাস অর্থাৎ কুফর, শিরক ও নিফাক থাকবে তার কোনো নেক আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না এবং পরকালে তা কোনো কাজে আসবে না।
সুতরাং আমাদেরকে একমাত্র আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্যই নেক আমল করতে হবে এবং সব আমল সুন্নাত তরিকায় করতে হবে। তা হলে আশা করা যায়, আল্লাহ তায়ালা আমাদের নেক আমল কবুল করে জান্নাত দান করবেন। পরকালীন জীবনে জান্নাত লাভের জন্য ঈমান ও নেক আমল আবশ্যক।
আজ ছারছীনা দরবার শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কেবলাদ্বয় কুত্বুল আলম, শায়খুল মাশায়েখ পীর শাহ্ সূফী হযরত মাওলানা নেছারুদ্দীন আহমদ (রহঃ)-এর ৭২ তম ও মুজাদ্দিদে যামান, কুত্বুল আলম পীর শাহ্ সূফী আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ (রহঃ)-এর ৩৪ তম ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের শেষ দিন বাদ মাগরীব তা’লীম প্রদান শেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা একথা বলেন।