// পাবনা : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় স্বামীর গৃহের শয়নঘর থেকে সুমাইয়া আক্তার সুমি (২৩) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার(২৯ জানুয়ারি)রাত আটটার দিকে উপজেলার অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বড় বিশাকোল বাঁধপাড়া গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশ। নিহত সুমি ওই গ্রামের গার্মেন্টস কর্মী জাকিরুল ইসলামের স্ত্রী ও পাশ্ববর্তী উল্লাপাড়া উপজেলার মানিকদহ গ্রামের বিশু প্রামানিকের মেয়ে। তাঁর তিন বছর বয়সের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। পুলিশ বলছে,’পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’ মঙ্গলবার(৩০জানুয়ারি)ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে গেছে,প্রায়আট বছর পূর্বে পারিবারিকভাবে সুমি ও জাকিরুলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সুমির সঙ্গে শশুর বাড়ির লোকজনের বনিবনা হচ্ছিল না। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। ১০/১২ দিন আগে শশুর বাড়ির লোকজন সুমিকে গালিগালাজ ও মারপিট করলে,সে রাগ করে বাবার বাড়ি চলে যান। পরে স্বামী জাকিরুল গিয়ে সুমিকে বুঝিয়ে বাড়ি নিয়ে আসেন।
ঘটনার দিন সোমবার দুপুরে সুমিকে তাঁর শোবার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন শশুর বাড়ির লোকজন। পরে তারা সুমির মরদেহ নিচে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে রাত ৮ টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
গৃহবধূ সুমির মামা আবু তাহের বলেন, ‘বিয়ে পর থেকেই শশুর বাড়ির লোকজন সুমিকে গালিগালাজ ও মারপিট করতো। সোমবার বিকেলে খবর আসে সুমি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মো.নাজমুল হক জানান,এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে মরদেহটি পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’