// ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উৎসবমূখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠানের জন্য মরীয়া হয়ে ওঠেছে পাবনা-৪ আসনের প্রতিদ্বন্দ্বি ছয় প্রার্থী। ৭ই জানুয়ারী ভোটের দিনে ৭০ ভাগ ভোটারের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ, অংগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। স্বতন্ত্র এবং অন্যান্য দলের প্রার্থী ও তাঁদের সমর্থকরা মাঠে নেমেছে। শীতকে উপেক্ষা করে পাড়া ও মহল্লায় বাড়ি বাড়ি যেয়ে ভোট চাওয়ার পাশাপাশি ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
ইতোমধ্যেই পাবনা-৪ আসনের ঈশ্বরদী ও আটঘোড়িয়া উপজেলার সকল ওয়ার্ডে নৌকার নির্বাচনী অফিস স্থাপন হয়েছে। পোষ্টার পড়েছে সর্বত্র। নিয়ম মেনে মাইকে গান বাজিয়ে ভোটের প্রচারণা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা বা প্রচারণায় বাঁধা প্রদানের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
পাবনা-৪ আসনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদদ্বন্দ্বিতা করছেন। নৌকা প্রতীকে তরুণ প্রজন্মের নেতা পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক ও প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের পুত্র গালিবুর রহমান শরীফ, স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও জাতীয় পার্টির সবেক এমপি পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস ঈগল পাখি প্রতীকে, জাসদের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক মশাল প্রতীকে, জাতীয় পার্টির রেজাউল করিম লাঙ্গল প্রতীকে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আতাউর হাসান গামছা প্রতীকে এবং ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির মনছুর রহমান আম প্রতীকে নিয়ে প্রচারণায় রয়েছেন।
নৌকার প্রার্থী গালিব শরীফ বলেন, নির্বাচনে যারা প্রতিদদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের প্রচার-প্রচারণায় কোন প্রকার বাঁধাপ্রদান মেনে নেওয়া হবে না। পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখার জন্য দলের সকলে সজাগ রয়েছেন। ভোটকে উৎসবমূখর করতে এবং ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে যা যা করা প্রয়োজন তা করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। উন্নয়নের ধারা চলমান রাখতে এবং আগামীতে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে নৌকার বিজয়ের বিকল্প নেই।
রবিবার বিকেলে প্রচারণাকালে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী পাঞ্জাব বিশ্বাস বলেন, জনগণ নির্বাচনমূখী এবং ভোট দিতে চায়। ভোট প্রদানে আগ্রহ রয়েছে। তবে একটি পক্ষ বিভিন্নভাবে ভোটারদের মাঝে নানা ভয়ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। কিছু কিছু মানুষের অনীহাও রয়েছে। সেই অনীহাকে কাটানোর জন্য আমরা যখন ভোট চাইতে যাচ্ছি, তখন মানুষ উল্লাসে ফেটে পড়ছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আবুল কালাম আজাদ মিন্টু বলেন, আমাদের ল্য নির্বাচনে কমপক্ষে ৭০ ভাগ ভোটারকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া। সেটা করতে পারলে সব েেত্রই সফল হব। যেমন বিএনপির নির্বাচনবিরোধী প্রচারণাকে মোকাবিলার সাথে সাথে দলের প্রার্থীকেও বিপুল ভোটে বিজয়ী করা। তাই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বুঝিয়ে ভোটারদের কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ চলছে। শক্ত প্রতিদদ্বন্দ্বি নেই ভেবে বাড়িতে বসে থাকলে চলবে না।