// আজিম উল্যাহ হানিফ
একজন সফল সংগঠক, গবেষক, উদ্যোক্তা ও লেখক মোঃ ইমাম হোসাইনে এর জন্ম ১৯৮৯ সালের ২০ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। বাবা মৃত মোঃ অহিদুর রহমান মজুমদার, মাতা বিলাতের নেসা। ৮ ভাই-বোনের সর্বকনিষ্ঠ তিনি। শৈশবে শিক্ষা হাতেখড়ি পরিবারেই। তারপর প্রাথমিক শিক্ষায় গ্রহণে ভর্তি হন কালিবাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, তারপর মাধ্যমিক শিক্ষায় কালিবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কিছুদূর না যেতেই বছর দুয়েক শিক্ষায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন কর্ম দক্ষতা অর্জনে জড়িয়ে যান। বিশেষ ওয়ার্কশপ, রাজমিস্ত্রী হেল্পার, সয়েল স্টেস ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি কাজে। তারপর সহপাঠী বন্ধুদের প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আবার ভর্তি হন পাশ্ববর্তী জোলাই ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে। বছর খানেক নিয়মিত পড়াশোনায় থেকে আবার অনিয়মিত হয়ে যান। আবারও সহপাঠী আরিফ, মোরশেদ, মেহেদী, হাবিরের অনুপ্রেরণায় সপ্তম শ্রেণীতে নিয়মিত হন। এবার পড়াশোনায় তেজস্বী হয়ে বেশ মনোযোগী হন। বইয়ের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি জ্ঞান ও সৃজনশীলধর্মী বই পড়াশোনা করতে থাকেন।
ক্লাসের ইংরেজি শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম এর উৎসাহ উদ্দীপনায় কেনেন সাহিত্যিক ডা. লুৎফর রহমান এর মানব জীবন, ধর্ম জীবন, যুবক জীবন, মহাজীবন, মহৎ জীবন সহ আরো বেশ কিছু বই। সপ্তম শ্রেণীতে থাকতেই বাড়ির বাহিরে এসে জাকির(লজিন) থেকে পড়াশোনা শুরু । ষষ্ঠ শ্রেণীতে ক্লাস রোল নং ৮৭ (ক্লাসের সর্বশেষ রোল/ছাত্র)। তারপর সপ্তমে রোল ৩৪, অষ্টমে রোল ০৬, নবমে রোল ০৪ এবং দশমে রোল ০১, দাখিল (এসএসসি) বোর্ড পরীক্ষায় সফলতার জিপিএ-০৫ পেয়ে কৃতিত্ব অর্জন করেন।
অষ্টম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে ১ম সাময়িক পরীক্ষা দিয়ে চার বন্ধু ইমাম, মোরশেদ, হাবিব ও বিল্লাল মিলে চট্টগ্রাম চলে গেলেন শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য। ষোল শহর জংশন স্টেশনের এক বস্তিতে ৬০০ টাকা মাসিক ভাড়ায় একটি রুম নিলেন।
সেখানে গাদাগাদি করে চার বন্ধু মিলে থাকতেন। প্রতিদিন ভোরবেলায় দুই নাম্বার গেইট ডেইলি লেবার মার্কেটে দাঁড়াতেন। বিভিন্ন জন কাজের জন্য তাদের কে নিয়ে যেত। একপর্যায়ে তার দুই বন্ধু বাড়িতে (কুমিল্লা) চলে এলে ৬০০ টাকা দিয়ে মেসে থাকা সম্ভব হয় না। তাই ভাড়াকৃত রুমটি ছেড়ে বের হয়ে ষোল শহর জংশন স্টেশনে চলে আসেন। পরবর্তীতে রাতে ঘুমানোর জন্য বেছে নেন রেলের অকেজো একটি বগি। তবে ইমাম ও হাবিব দুইজন নিকটস্থ ভাঙারি দোকান হতে প্লাস-হাতুড়ি সংগ্রহ করে তা দিয়ে বগি খোলার সময় রেল পুলিশ চোর ভেবে তাদের দুইজনকে থানায় নিয়ে যায়।
দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়ের মধ্যস্থতা ১৫০ টাকা জরিমানা দিয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আবার বস্তিতে বসবাস শুরু করেন। তারপর কাজ করতেন ম্যানহোলে। প্রতিদিন ১২০ টাকা মজুরি পেতেন। ৬০ টাকা দিয়ে তিন বেলার খাবার খেতেন। বাকি ৬০ টাকা দিয়ে পুরোনো বই কিনতেন। বই পড়ার আগ্রহ থাকায় ইমাম হোসাইন নিয়মিত বই কিনতেন এবং সংগ্রহ করতেন। ১৫ দিন পর ম্যানহোলের কাজ ছেড়ে চট্টগ্রাম শপিংমলে দারোয়ানের চাকরি নেন ইমাম। এক মাস চাকরি করে ১ হাজার ২০০ টাকা বেতন পান। সেখান থেকে টাকা বাঁচিয়ে ৬০টি বই কেনেন তিনি। এত টানাপোড়েনের মধ্যেও বইপড়ার আগ্রহ বিন্দুমাত্র কমেনি। দশম শ্রেণিতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর ‘লাইব্রেরি’ প্রবন্ধ পড়ে পাঠাগার গড়ার প্রতি আরো বেশি উজ্জীবিত হলেন। সেজন্য ‘পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ’ নামে একটি পাঠাগার গড়ার উদ্যোগ নেন। মাধ্যমিকে এ প্লাস পেয়ে পড়ালেখার প্রতি আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। সংসারে অভাব থাকায় টিউশনি করে লেখাপড়ার খরচ জোগাতেন। তার পাশাপাশি নিজ বাসায় গড়ে তোলেন বিদ্যাসাগর উন্মুক্ত পাঠাগার। নিজেই পোস্টার লাগিয়ে পাঠাগারটির প্রচারণা চালাতেন। উচ্চ মাধ্যমিকে অধ্যয়নরত অবস্থায় কুমিল্লার দেবিদ্বারে একটি এতিমখানায় গণিত ও ইংরেজি বিষয়ে পড়ানোর বিনিময়ে তিনবেলা খাবার পেতেন। শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানেও বিদ্যাসাগর উন্মুক্ত পাঠাগারের কিছু বই নিয়ে যান। মেধাবী এ ছাত্র কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং বিষয়ে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে চাকরির জন্য সময় ব্যয় না করে পাঠাগার আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়ার লড়াই শুরু করেন। পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন প্রথমে লুৎফর রহমানের মানবজীবন বই দিয়ে শুরু করেন। এখন তার উদ্যোগ নেয়া ৩ শতাধিক পাঠাগারে বই আছে ৮০ (আশি) হাজার ৫০০টি। তাদের ট্রাস্টি বোর্ডে সদস্য ২৫ জন। অফিশিয়ালি তাদের সদস্য ২০,০০০ (বিশ) হাজার জন (প্রায়)। তারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পাঠাগারের জন্য পুরোনো বই সংগ্রহ করেন। তা ছাড়াও প্রতি বছর বইমেলা ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুদান থেকেও বই সংগ্রহ করেন। সংগঠনটির লক্ষ্য সারাদেশের ৮৭ হাজার ১২১টি গ্রামে কমিউনিটি পাঠাগার গড়ে তোলা। ইতিমধ্যে সমগ্র দেশব্যাপি ৩ হাজার বেসরকারি পাবলিক লাইব্রেরিকে সংগঠিত করে ২০ লক্ষ পাঠককে নিয়মিত বইপাঠ সেবা দেওয়ার জন্য জাতীয়ভাবে সমন্বয় করে যাচ্ছেন। সংগঠনটির দাফতরিক কার্যালয় কুমিল্লার ধর্মসাগর উত্তর পাড় পৌড়পার্ক এলাকায়। সংগঠনটির প্রধান কাজ হলো কোনো অঞ্চলে কেউ যদি পাঠাগার গড়তে চান; তাকে উৎসাহ, দিকনির্দেশনা দেয়া এবং পাঠাগার সচল ও সক্রিয় রাখতে সমন্বয় করা। তাদের প্রচেষ্টায় দেশের ৬৪টি জেলায় পাঠাগার আন্দোলন ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পাঠাগার আন্দোলনের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী পাঠাগার গড়তে চাইলে কমপক্ষে ৩০০টি বই থাকতে হয়। তাদের দিকনির্দেশনায় নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার বিরাজনগর বাজারে প্রথম পাঠাগার গড়ে ওঠে। সেটির নামও দেয়া হয় বিদ্যাসাগর উন্মুক্ত পাঠাগার। ২০১৩ সালের ৭ আগস্ট পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার দিন প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন জেলা প্রশাসক ও বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব আবু হেনা মোর্শেদ জামান। স্থানীয় জনগণ পাঠাগারটির জন্য কয়েক লাখ টাকা অনুদান দেন। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ে ইমাম হোসেনের এ উদ্যোগে খুশি হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তার পাশে দাঁড়ান। তাদের মধ্যে বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান, ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহসান উল্লাহ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ, মার্কেটিং বিভাগের সহকারি অধ্যাপক মাইনুল হাসান, নাহিদ শাহ, সহ আরো অনেক শিক্ষকেরা। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াকালীন সময়ে ক্যাম্পাসের ছিন্নমূল শিশুদের নিয়ে গড়ে তোলেন পথশিশুদের জন্য পাঠশালা। ২০১৩ সালে কুমিল্লায় সামাজিক বন বিভাগে একটি পরিত্যক্ত অকেজো ঘরে ইমাম পথশিশুদের জন্য প্রজন্ম শিশু পাঠশালা নামে পাঠশালাটি গড়ে তোলেন।
সেখানে সপ্তাহে দুদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. জি এম মনিরুজ্জামান পাঠদান করতেন। পাঠশালায় ১৫০ জন পথশিশু ক্লাস করে। পাঠাগার আন্দোলনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার পর অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা (হোপ ৮৭) ৭ লাখ টাকার এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকাসহ বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের বই দেয়। বিষয়টি তখন ব্যাপক সাড়া ফেলে কুমিল্লায়। এতে ইমামের উৎসাহ বেড়ে যায়। পাঠাগার আন্দোলনের খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হতে থাকলে বিভিন্ন অঞ্চলের জনগণ পাঠাগার গড়তে আগ্রহী হয়। এভাবেই পাঠাগার আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ইমাম। পাঠাগার আন্দোলনের সদস্য হতে হলে একাডেমিক কোনো যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। শুধু বই পড়ার আগ্রহ থাকতে হয়। পাঠাগার আন্দোলনের তত্ত্বাবধানে থাকা পাঠাগারগুলোয় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া পাঠক বেশি। তবে গ্রামীণ পাঠাগারগুলোয় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রী ও কৃষক শ্রেণির পাঠক বেশি। কৃষক পাঠকদের সম্পর্কে ইমাম বলেন, ‘কৃষকরা পাঠাগার থেকে বই সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। তারা চাষাবাদের পাশাপাশি যখন বই পড়েন; সেই বিষয়টি আমাকে অনুপ্রাণিত করে।’পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম সফলতা ২০১৬ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সারাদেশের ১৪০০ পাঠক নিয়ে জাতীয় যুব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল),এফসিএ, এমপি, বর্তমান ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার, একুশে পদকপ্রাপ্ত আলোর ফেরিওয়ালা পলান সরকারসহ আরো দেশ বরেণ্য গুণীজন। এই সম্মেলনের মাধ্যমে যুব শ্রেণীর পাঠকদের মাঝে নেতৃত্ব বিকাশে গড়ে তোলা হয় “যুব সংসদ বাংলাদেশ” নামক যুব সংগঠন। যেটি সমগ্র দেশের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল। ‘পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের’ সংগ্রামটা অনেকটা নিজের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মতো। এ বিষয়ে পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন বলেন, “পাঠকদের জন্য নিয়মিত পাঠাগার খোলা রাখার জন্য প্রশিক্ষিত লাইব্রেরিয়ান দরকার। এই জন্য দরকার যথাযথ সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা। দীর্ঘ দেশের সাড়ে তিন বেসরকারি গণগ্রন্থাগার এর উদ্যোক্তাগণ মিলে আমরা সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের চাহিদার কথা জানিয়ে আসছি। সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী একাধিক বার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তার কোন প্রতিফলন নেই।আমরা যদি নিয়মিত প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইব্রেরিয়ানের জন্য সরকারি ভাতা পেতাম, তাহলে পাঠাগার আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে পারতাম। কেননা গ্রামে গঞ্জের সাধারণ মানুষ (বেশির ভাগ ছাত্র) যারা একটি নির্দিষ্ট ঘর দিয়ে এবং অনেক বই সংগ্রহ করে একটি সামাজিক গণপাঠাগার গড়ে তোলেন, সেটির সাথে একটি কমিটি ও গ্রামীণ পাঠকবৃন্দ জড়িত থাকলেও পাঠাগারটি নিয়মিত খোলা রাখতে অবৈতনিক কোন লাইব্রেরিয়ান পাওয়া যায় না, তাই সরকারি ভাবে জেলা প্রশাসন/উপজেলা প্রশাসন/সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় একটি সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট করে দেশের বেসরকারি গণগ্রন্থাগার গুলো নিয়মিত খোলা রাখার জন্য একজন লাইব্রেরিয়ানের সম্মানী ভাতা প্রদান করলে গ্রামের সাধারণ মানুষসহ স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও যুব সমাজ বইপড়ার প্রতি আকৃষ্ট হবে। এতে করে ২০৪১ সালের যে উন্নত বাংলাদেশ এর স্বপ্ন আমরা দেখছি, তা হবে জ্ঞানভিত্তিক সমাজের বাংলাদেশ। যেখানে মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষই নেতৃত্বে দিবে জাতিকে। আর এই মূল্যবোধ তৈরির মিমাংসিত অবারিত ক্ষেত্র হচ্ছে পাবলিক লাইব্রেরি। সুতরাং রাষ্ট্র তার বৃহৎ জনগোষ্ঠীর স্বার্থেই পাবলিক লাইব্রেরি তৈরি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার পিছনে মনোযোগী হতে হবে। “ইমাম হোসেনের এসব কাজের জন্য উৎসাহ দিতেন তার মা, সহোদর ভাই আবুল হোসাইন মজুমদার, বন্ধুমহল ও শিক্ষকরা। বই সংগ্রহের পেছনে ইমাম হোসেনকে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা জুগিয়েছেন মাধ্যমিকের ইংরেজি শিক্ষক মো. সিরাজুল ইসলাম ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের অর্থনীতির শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। এ দুজন শিক্ষকই তাকে পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি অন্যান্য বই পড়তে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। শিক্ষকদের বিষয়ে ইমাম বলেন, ‘তারা বইপ্রেমী মানুষ। সব সময় আমাকে বইপড়া এবং বই সংগ্রহের জন্য উৎসাহ জুগিয়েছেন তারা। তাদের কারণেই আমি বইপড়ার কদর বুঝতে পেরেছি।’ বইপ্রেমী ইমাম হোসেনের প্রিয় লেখকবৃন্দ হচ্ছে কবি কাজী নজরুল ইসলাম, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ডা. লুৎফর রহমান, আহমদ ছফা, হুমায়ূন আজাদ, ডেল কার্নেগী ও ব্রায়ান ট্রেসি।নিজের প্রাপ্তির জায়গা সম্পর্কে ইমাম বলেন, “পাঠাগার আন্দোলন করতে গিয়ে দেশ বরেণ্য বহু গুণীজনের সান্নিধ্য পেয়ে ধন্য আমার জীবন। তাছাড়া দেশে একটি যুগোপযোগী বইপড়ার আন্দোলন গড়ে তুলতে দেশে বিদ্যমান ৩,০০০টি বেসরকারি গণগ্রন্থাগার কে একটি জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছি। গড়ে তুলছি পাঠাগার গুলোর বৃহৎ নেটওয়ার্কিং সংগঠন ‘বাংলাদেশ বেসরকারি গণগ্রন্থাগার পরিষদ। এর মাধ্যমে সকল বেসরকারি গণগ্রন্থাগার তাদের সকল সুবিধা ও সমস্যার কথা অনাসয়ে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপন করতে পারে। তাছাড়া সকল বেসরকারি গণগ্রন্থাগার উদ্যোক্তাগণ দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গড়ে পাঠাগার গুলোর সাথে নিজের নলেজ শেয়ারিং করতে পারে। আমার সঙ্গে সবার নিয়মিত যোগাযোগ হয়। আর পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশকে মানুষ ইতিবাচকভাবে নিয়েছে, এটা আমার জন্য বিরাট অর্জন।’পাঠাগার আন্দোলনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এদেশের প্রতিটি মানুষের কাছে বইপড়ার কদর পৌঁছাতে হবে। পাঠাগার আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে এবং মানুষকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করতে আমরা নিয়মিত কর্মশালার আয়োজন করবো। আমার বহুদিনের স্বপ্ন সমগ্র বিশ্বের পাঠাগার গুলোর জন্য একটি যুগোপযোগী বিশ্বমানের আধুনিক আন্তর্জাতিক লাইব্রেরি কমপ্লেক্স ও গবেষণা ইনস্টিটিউট তৈরি করা। যেখানে বই, লেখক, পাঠক, প্রকাশক, লাইব্রেরিসহসহ সাহিত্য ও সংস্কৃতি নিয়ে নিয়মিত গবেষণা, বিশ্বের সকল পাবলিক লাইব্রেরির আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ সমন্বয়, সম্পর্ক রক্ষা, জার্নাল প্রকাশ, বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ, লাইব্রেরি সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক স্বার্থ রক্ষা, স্ট্র্যাটেজিক ও অবকাঠামো উন্নয়ন সমন্বয়, নতুন লাইব্রেরি সৃজনে সাপোর্ট এবং রিসার্চ ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠবে। পাঠাগার আন্দোলনের এ যোদ্ধা বলেন, ‘পৃথিবীর সব আন্দোলন শূন্য থেকেই শুরু হয়েছিল। আমিও মাত্র একটি বই নিয়ে পাঠাগার আন্দোলন শুরু করি। এখন আমার পাঠাগারে অনেক বই। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।’ ইমাম মনে করেন, সমাজের বিত্তবানরা যদি এ আন্দোলনে এগিয়ে আসেন; তাহলে পাঠাগার আন্দোলন একসময় সাফল্যের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে।
এই পাঠাগার আন্দোলন কে বেগবান করতে যাঁরা সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে কাজ করেছেন বাংলাদেশ সরকারের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ট্রেজারার অধ্যাপক মাজহারুল হান্নান, ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. গাজী হাসান কামাল, নেত্রকোনা জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের মাননীয় সাংসদ হাবিবা রহমান খান শেফালী, প্রফেসর ড. আলী হোসেন চৌধুরী, অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক এআইজি মালিক খসরু পিপিএমসহ আরো অনেক দেশ বরেণ্য গুণীজন। সমসাময়িক বন্ধু মহল হতে যাঁরা নিরন্তর সহযোগী হয়ে কাজ করেছেন শাকিলা সরকার, নাজমুল হাসান, আসিফ রিয়াজ, এস এম সোহেব কিবরিয়া, মুহিবুল্লাহ মুহিব, নজরুল ইসলাম, শাম্মী তুলতুল, নিজাম হায়দার সিদ্দিকী, সোহেল রানা, আমজাদ হোসেন, শাহিন মিয়া, তৌহিদুল ইসলাম শিমুল, আব্দুল আল মামুন, আব্দুল হামিদ খান লিংকন, আলমগীর হোসেন, সাংবাদিক সফিউল্লাহ, আব্দুল মোমেন, এস আর খান সজিব, সাহিদা আক্তার স্বর্ণা, শরিফুজ্জামান সরকার, রাশেদ আলম, জামাল হোসেন, কে এম মেহেদী হাসান বাপ্পি, মাহমুদুল হাসান মনির, ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল ইসলাম মুন্সি, তাসলিমা আক্তার সহ আরো অনেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় ছাত্রদের বহু ন্যায্য দাবি আদায়ে আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্থানীয় ও জাতীয় বহু সংগঠনের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থেকে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিজ্ঞায় সবসময়ই উজ্জীবিত ছিলেন স্বপ্নবাজ এই তরুণ।
ইমাম হোসাইন যুব উন্নয়ন রাখছেন ব্যাপক সাফল্য। তিনি যুব উন্নয়নে গড়ে তুলেছেন যুব সংসদ বাংলাদেশ নামক প্রতিষ্ঠান। এ সংগঠনের মাধ্যমে তিনি ২০ হাজারেরও অধিক যুবদের নেতৃত্ব ও কর্মসংস্থান বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন।
রাজনৈতিক দর্শনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শনে উজ্জীবিত হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগে জড়িয়ে পড়েন। ছয় বছর দায়িত্ব পালন করেছেন ছাত্রলীগের পাঠাগার সম্পাদক হিসেবে। পারিবারিক জীবনে ১৭ ডিসেম্বর, ২০২১ খ্রিঃ এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলাস্থ কাশিরাম পুর গ্রামের শাকিলা সরকার এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার সহধর্মিণী শাকিলা সরকার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ছাত্রী ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হল নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল শাখা ছাত্রলীগের দায়িত্ব ছিলেন। তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্য পরিষদ এর নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও বেশ সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা কোটবাড়িস্থ আনন্দপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন। গ্রাম ভিত্তিক পাঠাগার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য পেয়েছেন বহু সংগঠন ও সংস্থা হতে সম্মাননা। জাতীয় সম্মাননা: ক. বইপড়া আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের অর্জন করি ২০১৫ সালে সিআরআই ও ইয়াং বাংলা কর্তৃক আয়োজিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় হতে “জয় বাংলা ইয়ূথ অ্যাওয়ার্ড-২০১৫” খ. যুব নেতৃত্বে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় যুব সম্মেলন-২০১৬-এ তৎকালীন পরিকল্পনামন্ত্রী ও বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল),এফসিএ,এমপি হতে ‘লিডারশিপ পুরষ্কার-২০১৬’ গ্রহণ। গ. সফল শিক্ষার্থী হিসেবে “প্রথম আলো-একটেল সম্মাননা-২০০৯” অর্জন করি। ঘ. দেশব্যাপী বইপড়া আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার পেয়েছেন ‘নাগরিক কবি শামসুর রাহমান সম্মাননা-২০২১’ অর্জন করি। ঙ. জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুমিল্লা কর্তৃক রচনা প্রতিযোগিতায় ১ম হওয়ায় ‘সম্মাননা স্মারক-২০১৬’চ. ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় রচনা প্রতিযোগিতায় ৪র্থ হওয়ায় পেয়েছেন ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন হতে ‘সম্মাননা স্মারক-২০১৩’। ছ. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটে ‘হিউম্যান ওয়েল-বিয়িং ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ’ কর্তৃক আয়োজিত ‘বরেণ্য গুণীজন সম্মাননা-২০২২’ অর্জন করি। জ. ‘বীর প্রতীক শহীদ আব্দুল মালেক স্মৃতি সম্মাননা-২০২১’ অর্জন।
ঝ. সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘বিশেষ সম্মাননা স্মারক-২০২২’ অর্জন করি।
ঞ. সার্ক ইয়ূথ মিনিস্ট্রিয়াল সম্মাননা-২০১৭। ০৪ মার্চ, ২০১৭ সালে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ১ম সার্ক ইয়ূথ মিনিস্ট্রিয়াল অনুষ্ঠানে প্যানেল স্পিকার হিসেবে সম্মাননা অর্জন।
ট. ২৮ মে ২০১৪ সালে জাতীয় যুব কাউন্সিল বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, মতিঝিল, ঢাকা এ সেরা যুব সংগঠক হিসেবে স্বীকৃতি মাননীয় যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এর কাছ থেকে।
ঠ. বইপড়া আন্দোলনের জন্য পেয়েছেন “শুদ্ধতার কবি অসীম সাহা সম্মাননা-২০২০”।
ড. ফরিদপুর জেলার স্বনামধন্য সংস্থা ” তরুছায়া ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০১৬”
ঢ. ফরিদপুর জেলার স্বনামধন্য সংস্থা ” তরুছায়া ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০১৮”।
ণ. “আলোকিত তারুণ্য সংগঠন পদক-২০২২”ত. “হিউম্যান ব্রাইট ফাউন্ডেশন সম্মাননা-২০১৯”থ. জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর জন্মদিনে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন থেকে পেয়েছেন “শহীদ শেখ রাসেল সম্মাননা-২০২২”দ. নাটোরের লালপুরের স্বনামধন্য “সৃজনশীল পাঠাগার সম্মাননা-২০২১”।ধ. লালমনিরহাট জেলার সম্মিলিত বেসরকারি গণগ্রন্থাগার সম্মাননা-২০২১। ণ. রংপুর বিভাগীয় সম্মিলিত গণগ্রন্থাগার সম্মাননা-২০২১।
প. রাজশাহী বিভাগীয় সম্মিলিত গণগ্রন্থাগার সম্মাননা-২০২১।
ফ. বরিশাল বিভাগীয় সম্মিলিত গণগ্রন্থাগার সম্মাননা-২০২১।
ব. কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে পেয়েছেন “ক্যামব্রিয়ান কলেজ ও বিএসবি সম্মাননা-২০০৯”
ভ. কৃতী শিক্ষার্থী হিসেবে পেয়েছেন “সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্মাননা-২০১৩”
ম. “National Best Volunteers Award-2023 অর্জন। ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট ভবনে আন্তর্জাতিক সংস্থা VSO (Volunteer Service Overseas), VO ( Volunteer Opportunities) ও IDMVS (Institute of Disaster Management & Vulnerable Study) of Dhaka University কর্তৃক আয়োজিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল স্যার, অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রুনাই এর হাইকমিশনার, ILO এর কান্ট্রি ডিরেক্টর, University of Professionalএর উপ-উপাচার্য, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর পরিচালক (প্রশাসন), UNDP এর প্রতিনিধি সহ আরো একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ।
আন্তর্জাতিক সম্মাননা: ক. ভারতের আগরতলা প্রেসক্লাবে ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্প্রীতি উৎসব’ কর্তৃক বইপড়া আন্দোলনে বিশেষ অবদানের জন্য ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আর্ন্তজাতিক সম্মাননা-২০২২’ অর্জন করি।
খ. ভারতের সবিতা স্মৃতি ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘বিশেষ সম্মাননা স্মারক-২০২২’ অর্জন করি।গ. বাংলা-ত্রিপুরা মৈত্রী মঞ্চ কর্তৃক ‘মৈত্রী সম্মান-২০২২’ অর্জন।
ঘ. বাংলাদেশ উষশী পরিষদ কর্তৃক ‘ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা-২০২২’ অর্জন করি।
স্থানীয় প্রশাসন হতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য মো: ইমাম হোসাইন পেয়েছেন একাধিক সম্মাননা। ১. কুমিল্লা জেলার শ্রেষ্ঠ যুব পুরস্কার-২০২৩। গত ০১ নভেম্বর ২০২৩ এ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় যুব দিবস-২০২৩ এ সম্মাননা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ মুশফিকুর রহমান ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: সামছুজ্জামান।
০২. শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ প্রদর্শনী স্টল সম্মাননা অর্জন। জেলা প্রশাসন, কুমিল্লা কর্তৃক আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিাটির উদ্যোগে ৩০ ডিসেম্বর, ২০২১ হতে ০২ জানুয়ারি, ২০২২ পর্যন্ত চারদিন ব্যাপি, “বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার বইমেলা”য় পাঠাগার আন্দোলন এর পক্ষে গ্রন্থ প্রদর্শনী স্টল প্রদানে সফল হওয়ায়। সম্মাননা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান। ৩. শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ প্রদর্শনী স্টল সম্মাননা অর্জন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা কর্তৃক আয়োজিত মুক্তির উৎসব ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী মেলা-২০২২ উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষে গ্রন্থ প্রদর্শনী স্টল প্রদানে সফল হওয়ায়। সম্মাননা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ। ৪. কুমিল্লা জেলা শ্রেষ্ঠ গ্রন্থাগার সম্মাননা অর্জন। জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুমিল্লা কর্তৃক আয়োজিত। সম্মাননা তুলে দেন মো: শামীম আলম, জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা। বইপড়া কর্মসূচি বাস্তবায়ন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে লাইব্রেরি ব্যবস্থাপনা, অধিক বই সংযোজন ও ব্যাপকহারে পাঠক বৃদ্ধিতে সফলভাবে কাজ করায় এ সম্মাননা প্রদান করা হয়।
০৫. বাংলা নববর্ষ-১৪২৩ রচনা প্রতিযোগিতা সম্মাননা অর্জন। জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগার, কুমিল্লা কর্তৃক আয়োজিত। বাংলা নববর্ষ-১৪২৩ উপলক্ষে জেলা পর্যায়ে রচনা প্রতিযোগিতায় গ বিভাগে ১ম স্থান অধিকার করায় সম্মাননা তুলে দেন জেলা প্রশাসক, কুমিল্লা এবং পুলিশ সুপার, কুমিল্লা।
০৬. শহীদ শেখ রাসেল সম্মাননা-২০২২ অর্জন। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় শিক্ষা বিস্তারে ১০০টি পাঠাগার স্থাপনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্ব কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর জন্মদিনে উপজেলা প্রশাসন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা এর আয়োজনে শুভাশিস ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ, কুমিল্লা এ সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।
গবেষণা গ্রন্থ: ক. Marketing Strategy in Real State Industry (2015).
কাব্য গ্রন্থ: ক. কবি ও সাংবাদিক মোতাহের হোসেন মাহবুব সম্পাদিত সম্মিলিত কবির কাব্য “দুর্দিনের সহযাত্রী” কাব্যে “কুমিল্লা নামক উপাখ্যান” নামে কবিতা প্রকাশ।
সাময়িকী সম্পাদনা: ক. প্রজন্মের উত্থান (২০১৬)।
খ. ঢাকার রাজনীতির নন্দিত নায়ক অবিভক্ত ঢাকা সিটির ১ম নির্বাচিত মেয়র, ৯৬ এর জনতার মঞ্চের মহানায়ক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তি সচিব মেয়র মোহাম্মদ হানিফ: জীবন ও কর্ম নিয়ে লেখা ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সাল ০৩টি বই প্রকাশ করেছেন।
গ. মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দেশের শত যুবকের ভাবনা নিয়ে সম্পাদিত করেছেন “তারুণ্যের ভাবনায় বঙ্গবন্ধু” নামক বই। এছাড়াও স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার নিয়ে বহু কলাম প্রকাশিত হয়েছে তার|
লেখক: আজিম উল্যাহ হানিফ, কবি ও কলামিস্ট। ০১৮৩৪-৩৮৯৮৭১