// নির্বাচন কমিশনে আপিল করে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রার্থিতা ফিরে পেলেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়া অর্থাৎ মাহিয়া মাহি। সোমবার ঢাকায় নির্বাচন কমিশনের আপিল শুনানিতে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, প্রার্থিতা ফেরত পেয়ে মাহি বলেন, তিনি যুদ্ধ করেই জিতবেন, ভোটের মাঠে লড়াই হবে ‘হাড্ডাহাড্ডি’।
“টেনশনে ছিলাম যে আমি ন্যায়বিচার পাব কি না। কারণ আমি আমার জায়গা থেকে সৎ ছিলাম। আজকে সেটারই প্রতিদান পেয়েছি আসলে। আমি শতভাগ বিশ্বাস করতে শুরু করেছি যে এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে গেলে নির্বাচনী এলাকার ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনমূলক স্বাক্ষর তালিকা জমা দিতে হয়। সেই তালিকায় ‘ভুয়া স্বাক্ষর’ পাওয়ার অভিযোগে মাহির মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
তিনি বলেছিলেন, চিত্রনায়িকা শারমিন আক্তার নিপা মাহিয়ার তালিকায় তিনটি নমুনা ভোটারের তথ্য পাওয়া যায়নি। আর একজন ভোটার নয়। তালিকায় ললিতা মান্ডি নামের একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোলের ভোটার।
অন্যদিকে মাহি বলেছিলেন, “আমার কাছে প্রমাণ আছে, প্রত্যেকে (ভোটার) নিজে উপস্থিত হয়ে স্বাক্ষর করেছে। সেই ভিডিও আছে। আমি প্রমাণ দেখিয়ে আপিল করব।”
আপিল শুনানিতে মাহির যুক্তি গ্রহণ করে তার মনোনয়নপত্রকে বৈধতা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
আপিল শুনানির রায় নিজের পক্ষে পেয়ে মাহি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমার মনে হয় এটা হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে। কারণ সেখানে আমার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। আমার এলাকার লোকজনই আমাকে মোটামুটি জোর করে বলেছে যে ‘আপনাকে নির্বাচন করতে হবে’।
কারণ তারা জানে আমি মাঝি, যদিও আমি নৌকা পাইনি। তারা আমাকে নৌকার মাঝি হিসেবেই দেখতে চান। আমি যাতে বিপুল ভোটে জিতে নৌকার মাঝি হই। এটা তারা আমাকে খুব করে চান।”
চলচ্চিত্রের জগৎ থেকে রাজনীতির মঞ্চে উঠে নৌকার মনোনয়ন ফরম কিনে আলোচনায় আসেন মাহি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের নৌকার মাঝি হতে চাইলেও দলের মনোনয়ন পাননি। এরপর রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মাঠে লড়ার ঘোষণা দেন।