// নাটোর প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুরে শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের ১৯ বছর পর শাহানুর (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া তাকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত শাহানুর লালপুর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ১২জুলাই রাতে লালপুরে শাহানুর এক শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষন করে পালিয়ে যায়। পরে শিশুটির চিৎকার শুনে বাবা মা ছুটে এলে সে ঘটনার কথা তাদেরকে জানায়। ২৬ জুলাই ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে শাহানুরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্তভার লালপুর থানা পুলিশকে প্রদান করে। পরে থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক মমিনুল ইসলাম তদন্তশেষে একই বছরের ২২ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ওই বছরই মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে আসে। কিন্তু সাক্ষীরা আদালতে আসতে গড়িমসি করেন। ১৯ বছরে মাত্র ৪ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন।
আদালতের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি আনিসুর রহমান জানান, মামলার বাদী দীর্ঘদিন আদালতে হাজির হননি। এছাড়া এই মামলায় মাত্র চারজন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। ওই চারজন সাক্ষীদের দেওয়া সাক্ষ্য সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামী শাহানুরকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন। বর্তমানে আসামী পলাতক রয়েছেন।