// বিচারপতিদের সমান সুযোগ-সুবিধা চেয়ে আইনের খসড়া অনুমোদন করেছে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) অন্যান্য কমিশনাররা হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের সমপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা রাখা হয়েছে। এছাড়া শুধু সিইসি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সমপর্যায়ের সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
সোমবার (২১ আগস্ট) কমিশন সভায় সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনারদের ‘পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার আইন-২০২৩’ এর খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ ও এনআইডি উইং মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।
সচিব বলেন, অনুমোদিত খসড়া আইন আকারে পাশের জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। আপিল বিভাগের বিচারপতিরা যে সুযোগ সুবিধা পাবেন সিইসিও সেই সুবিধা পাবেন এবং হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা যে সুযোগ সুবিধা পাবেন নির্বাচন কমিশনাররাও সেই সুবিধা পাবেন।
মো. জাহাংগীর আলম জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৩, এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১৯৮৩ সালের যে অর্ডিনেন্স আছে, সেটা বাংলায় করে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। সরকার ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সামরিক শাসনমালে যে সব আইনগুলো ছিল, সেগুলো বাংলায় আইন করা হবে। এ প্রেক্ষিতেই কমিশনের নির্দেশে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন-২০২৩ আজ কমিশন সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এদিন প্রবাসীদের জাতিয় পরিচয়পত্র বিষয়ে জাহাংগীর আলম বলেন, ‘প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা বা নীতিমালা কী হবে, সে বিষয়েও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়াও কমিশন সভায় প্রবাসী নাগরিকদের এনআইডি দেওয়ার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে এটি নিয়ে কাজ শুরু হবে। প্রবাসের দুটি দেশের কাজ ভোটের আগে হবে।’
ইসি সচিব বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসী নাগরিকদের এনআইডি করার যে পাইলট প্রকল্প সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে, তার অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরবর্তীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও দুটি দেশ যুক্তরাজ্য ও সৌদি আরবে কাজ শুরুর অনুরোধ জানিয়েছে। সেগুলো কাজের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।