১৫ আগস্ট ও মহাকালের যোদ্ধা

// এনামুল হক টগর //
১৫ আগস্ট,শোকে স্তব্ধ জাতি।
শোকে স্তব্ধ দেশ সমাজ ও বেদনা বিধুর বিশ্বজগত।
মহাকালের উদিয়মান সূর্য কিরণ থেকে বীর দীপ্তকর,
দেশপ্রেমের মহৎ রক্ত ঝরে পড়লো শোকে হাহাকার।
তুমি স্বধীনতার মহানায়ক তুমি সাম্যের দাবি অধিকার,
তোমার বুকে ঘাতকরা গুলি চালালো নিষ্ঠুর কি ভয়ংকর।
পাষাণ দানবরা তোমার বুক থেকে পবিত্র রক্ত ঝরালো,
জন্মভূমির মাটি হলো যন্ত্রণার আগুনে জর্জর অনল!
দেশ সমাজ ও পৃথিবীর আকাশ বিষাদে ভরে গেলো বেদনা বিরল,
তোমার প্রশস্থ বুক থেকে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত ঝরে পড়লো,
মৃত্তিকার উদ্যানে পুষ্পগুলো গভীর ক্রন্দন করলো,
স্বাধীনতার বীজ বপনকারীর দীর্ঘ দহন ব্যথার যন্ত্রণায়।
তুমি ছিলে সময়ের উপযোগী মানবতার দেশপ্রেমে পোড়া সভ্যতার আদর্শ পরিচয়।
তোমার মহৎ কর্মপ্রচেষ্টায় বাঙ্গালী জাতি সমৃদ্ধি হলো ভবিষ্যৎ সুদূর বন্ধন।
এই অবিচ্ছেদ্য বাংলার মানচিত্রে তুমি এক রাখাল রাজা বিদগ্ধ গৌরব নন্দন।
বাংলার অস্তিত্বে প্রবাহমান নদী মৃত্তিকা অরণ্যে তুমি অলৌকিক আজব!
তোমার রক্তের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফুল ফোটে সৌরভ স্নিগ্ধ স্বভাব।
তোমার বিস্তীর্ণ সবুজের মাঠে শস্যগুলো দোলা দেয় নীল আকাশ কাঁচা রংয়ে সজিব।
জীবন ও মানবতার অন্তরঙ্গ বন্ধু তুমি আলোকপ্রাপ্ত হৃদয়বান ও মহৎ দেশপ্রেমিক!
তোমার ধৈর্যশীল জীবনের কর্মকৌশল ন্যায়পরায়ণ বাংলার এক আর্দশ বিবেক।
তুমি অহম ও দ্বন্দ্বকে ভেঙে চুরে সময়কে উপযোগী করেছো নতুন সংস্কারক।।
তুমি মানবতার জিঘাংসা জাতির প্রথম বিজয় মিছিল সফল সংগ্ৰামে মহাবীর স্বাধীনতার।
তুমি বাংলার আধুনিক স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি দীপ্তিমান রূপকার।
তোমার অধিকার আন্দোলন আজো ধ্বনি প্রতিধ্বনি হয় লাল সূর্য পতাকা বিজয়।
তুমি উৎপাদনের মাঠে শস্যের ভাণ্ডার দেশপ্রেম অক্ষয়।
তুমি অধিকার দাবীতে সম্পদ ও বস্তুবন্টনের সাম্য নীতি নতুন আলোর নয়ন।
তুমি গ্রাম,তুমি নগর,তুমি অনাগত উদ্যানে প্রথম বসন্ত পাখির গান দীপ্ত কিরণ!
তুমি নতুন সকালের আলোকিত কর্মজীবী তুমি সফল শ্রমজীবী মানবতার সুদিন।
কে বলে তুমি নেই? কে বলে মুজিব মৃত?
তুমিতো অমর তুমিতো সমায়ের জাগরণে নব নব বিজ্ঞান আবিস্কার নীতি।
তুমিতো প্রজ্ঞাময় নিপুণ,অভিজ্ঞতার জীবন স্পন্দন সুদূর প্রশান্তচিত্ত।
তুমিতো যুদ্ধে রণাঙ্গনে স্বার্থবাদ বিরোধী ন্যায়ের পক্ষে সৎ কর্মশীল মহা-সৈনিক‌।
তুমিতো কঠিন প্রতিবাদ ও প্রতিরোধে ক্ষুধামুক্ত জন্মভূমির জ্ঞান বার্তা সজাগ বিবেক।
তুমিতো অশুভ রাজনীতির অশনি দেয়াল ভাঙ্গা এক দূর্বার সাহসী মহা-দেশপ্রেমিক।
তুমিতো সুশান্ত ভালোবাসার গৌরব সেবায় ও স্বাধীনতার দৃঢ় চৈতন্যে মহানায়ক।
তুমিতো বাংলার পিতা তুমিতো স্বাধীনতার মহানায়ক মহা-ঐক্যে মুক্ত ডাক।
তুমিতো দানব বিভীষিকার জুলুম ভেঙে মহাকালের চেতনায় বাংলার জ্যোতির্ময় ঝলক।
তুমিতো জাগ্রত মাটির বুকে সর্বাঙ্গ দেশপ্রেমে যুদ্ধ করো সেবা কল্যাণ আত্মিক!
তোমার আর্দশ থেকে জাতি জেগে ওঠে আগামী সভ্যতার মহৎ উত্তরসূরি লক্ষ সেবক।
তুমিতো নতুন দিনের বৃহৎ সংস্কারক বিপ্লবের অনাগত ভবিষ্যৎ দিশারী নাবিক।
কে বলে তুমি নেই? কে বলে মুজিব মৃত?
তুমিতো দেশপ্রেমের ইতিহাসে অমৃত প্রাণ অমর চিত্ত!
এই মাটি,এই স্বদেশ,এই বিশ্ব-মানবতার চৈতন্যে তুমিতো উদ্ভাসিত আধুনিক নির্মাতা।
তুমিই ইতিহাস, তুমিই মহা-সংগ্ৰামী, তুমিই মহা-বিপ্লবী তুমিই বাঙ্গালীর ভবিষ্যৎ দ্রুত।
তুমি আছো,তুমি থাকবে,তুমি ছিলে চিরকাল চিরজীবি সনাতন অনাগত নতুন!
এই বাংলার হৃদয়ে তুমিই হৃদয়বান মহাসাম্যের ধ্বনিতে অধিকার আদায় গুণাগুণ!
এই স্বদেশের মাটিতে তুমিই ন্যায়পরায়ণ তুমিই বিশ্বাসী অনন্তকাল সৌন্দর্য ভরা মহা-প্রীতিবন্ধন।