যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, পাকিস্তান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা ও শাসন পরিবর্তনের ষড়যন্ত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। ভুল তথ্য ও প্রোপাগান্ডা যুক্তরাষ্ট্র-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক পথে আসতে না দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও পুনর্ব্যক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক প্রেস ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, আমরা আগেও বলেছি এ অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই, কখনো ছিল না এবং আমাদের আর অতিরিক্ত কিছু বলার নেই।
চলতি বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান। পাকিস্তানের ইতিহাসে এটি প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করার ঘটনা। ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রকে তার সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী করেন।
কিন্তু সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, তিনি তার ক্ষমতাচ্যুতির জন্য আর যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করছেন না। তিনি কথিত ষড়যন্ত্রে মার্কিন ভূমিকার বিষয়ে বলেন, যতদূর আমি জানি, এই বিষয়টি শেষ, তাই বিষয়টি আমি পেছনে ফেলে এসেছি।
বুধবার এ বিষয়ে বেদান্তের মতামত চাওয়া হলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতাকে মূল্য দেয় এবং সর্বদা একটি সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক পাকিস্তানকে মার্কিন স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং এটি অপরিবর্তিত রয়েছে।
তিনি আরও স্পষ্ট করেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি দল বনাম অন্য রাজনৈতিক দলের নীতি সমর্থন করে না। বেদান্ত বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক এবং আইনি নীতির শান্তিপূর্ণ সমুন্নত আদর্শ সমর্থন করি এবং শেষ পর্যন্ত আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের মূল্যবান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পথে অপপ্রচার, ভুল তথ্য এবং বিভ্রান্তিকর তথ্যকে আসতে দেবো না।
বেদান্তকে এও ইঙ্গিত করা হয় যে, ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সাক্ষাত্কারে, ইমরান ইউক্রেনের ওপর মস্কোর আক্রমণ শুরুর প্রাক্কালে তার রাশিয়া সফরকে ‘বিব্রতকর’ বলেও অভিহিত করেছিলেন।
ইমরান ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে ব্যাখ্যাও করেছেন যে সফরটি কয়েক মাস আগে থেকে ঠিক ছিল। পরিশেষে বেদান্ত বলেন, ইমরান খানের মন্তব্য সম্পর্কে আমার কাছে সত্যিই আর কিছু বলার নেই।