পাবনায় মুক্তিযোদ্ধাদের বিভেদ নিরসনে ডাকাডিসি অফিসের বৈঠকে বর্জন করলেন মুক্তিযোদ্ধা বাবলু ও তার সহযোগীরা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

পাবনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, চাঁদাবাজিতে বাধা দেয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগসহ ৭ দফা দাবিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে এবং বিভেদ নিরসনে ডাকা জেলা প্রশাসকের বৈঠকে হট্টগোল ও বর্জন করেছেনআরেক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বাবলু ও তার সহযোগিরা।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এঘটনা ঘটে। এতে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন, পুলিশ সুপার মুনসী আকবর আলী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন ও পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, এদিন চলমান সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যে পক্ষ-বিপক্ষ উভয়কে ডেকে বৈঠকের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতেই বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বাবলু। এসময় দীর্ঘক্ষণ তিনি এককভাবে বক্তব্য দেন। এসময় অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা নিয়ে হট্টগোল দেখা দেয়। এসময় সহযোগী মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বৈঠক বর্জন করেন এবং আগামী ১৬ ডিসেম্বরে জেলা প্রশাসক কর্তৃক আয়োজিত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানও বর্জনের হুমকি দেন সাইফুল আলম বাবলু।

বৈঠক থেকে বের হয়েজেলা প্রশাসক অফিসের সামনে গণমাধ্যমের কাছে ডিসি ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আবারও বিরুপ মন্তব্য করেন সাইফুল আলম বাবলু ও তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলেন, ‘ডিসি সাহেব দুই নাম্বার লোকদের নিয়ে বৈঠক করছেন, ডিসি সাহেব ব্যর্থ, আমরা ডিসি সাহেবের পদত্যাগ চাই। ডিসি সাহেব যদি অনতিবিলম্বে পাবনা না ছাড়েন তাহলে বিভিন্ন অনুষ্ঠান তো দূরের কথা আমরা মারা গেলে তার নিকট থেকে গার্ড অব অনারও নেব না।’

তাদের বৈঠক বর্জনের পর বক্তব্য রাখেন, পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান মঞ্জু, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল জব্বার প্রমুখ।

বৈঠকে ৭ দফা দাবি তুলে ধরে তারা বলেন , ‘পাবনা সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাযাছাই-বাচাই কমিটি থেকে পাবনা জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বাবলুকে বাদ দিতে হবে। সাইফুল আলম বাবলু দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নিয়ন্ত্রণ নিতে যেসব অপকর্ম করে আসছেন সেগুলোর বিচার করতে হবে। এই দাবিগুলো পূরণ নাহলে চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল আলম বাবলু ও তার সহযোগী মুক্তিযোদ্ধারা বৈঠক বর্জন ও কোনও সমাধান না হওয়ায় বৈঠক স্থগিত করেন জেলা প্রশাসক। এবিষয়ে জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিয় কোনও মন্তব্য করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেন।