ইউক্রেনে ‘রক্তপাত বন্ধ করতে’ এবং মস্কোর সঙ্গে ‘বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট’ বিষয় নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার (১৯ মে) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলবেন।
নিজের ট্রুথ সোশ্যালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ফোনালাপটি স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং কিছু ন্যাটো দেশের নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করেছেন, সোমবার একটি ‘ফলপ্রসূ দিন’ হবে এবং ‘একটি যুদ্ধবিরতি হবে’। তিনি সোমবার নাকি পরবর্তী সময়ে যুদ্ধবিরতিতে একমত হবেন বলে আশা করছেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বার্তা সংস্থা তাসকে নিশ্চিত করেছেন, মস্কো ট্রাম্প এবং পুতিনের মধ্যে ফোনালাপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে তিনি আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
গত শুক্রবার রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদল তুরস্কের ইস্তাম্বুলে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। এটি ছিল তিন বছরের মধ্যে উভয় পক্ষের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনা।
তারা উভয় পক্ষের ১,০০০ যুদ্ধবন্দীকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি বড় বন্দী বিনিময়ে সম্মত হয় এবং প্রতিটি পক্ষ একটি বিস্তারিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা প্রস্তুত করে অন্য পক্ষের কাছে উপস্থাপন করার পরে যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
মস্কো জানিয়েছে, শনিবারের শুরুতে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে ফোনে ইস্তাম্বুল আলোচনার ফলাফল নিয়ে আলোচনা করেছেন।
রুবিও রাশিয়ান ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদের মধ্যে সম্পাদিত সমঝোতাকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় আরও অবদান রাখার জন্য ওয়াশিংটনের প্রস্তুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
ল্যাভরভ কিয়েভকে আলোচনার টেবিলে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইতিবাচক ভূমিকার’ প্রশংসা করেছেন এবং ইউক্রেন সংঘাত সমাধানে ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করার জন্য মস্কোর প্রস্তুতি ব্যক্ত করেছেন।
এর আগে, শুক্রবার ফক্স নিউজের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প একটি মীমাংসায় পৌঁছানোর ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘পুতিনের সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি আমরা একটি চুক্তি করব। আমাদের একসাথে কাজ করতে হবে এবং আমি মনে করি আমরা সম্ভবত এটির সময়সূচী তৈরি করব।’ তিনি পুতিনের সাথে ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব’ দেখা করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছিলেন।