ঈশ্বরদী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে জনবল সংকট চরমে

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
জনগুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে নেই কর্মকর্তা-কর্মচারী। অফিসে আছেন শুধুমাত্র একাডেমিক সুপারভাইজার। আর আছে অফিস পিয়ন এবং নৈশপ্রহরী। নেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, সহকারি শিক্ষা অফিসার, হিসাব রক্ষক এবং অফিস সহকারি। প্রায় আট মাস আগে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওহাদেুজ্জামান অবসরে গেছেন। অফিস সহকারি পদোন্নতি পেয়ে বদলি হয়েছেন। চরম জনবল সংকটে অন্ধের মতো পরিচালিত হচ্ছে ঈশ্বরদীর ৭৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে মোট পদের সংখ্যা ৭ জন থাকলেও রয়েছে মাত্র ৩ জন। সার্বিক অফিসের সার্বিক পরিচালনা করছেন শুধু একাডেমিক সুপারভাইজার। তিনি একাই মাধ্যমিক শ্রেণীর বই বিতরণ, শিক্ষা উপ-বৃত্তি এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। এই অফিসের আওতাধীন ৫২টি মাধ্যমিক স্কুল, ১৭টি মাদ্রাসা রয়েছে। এছাড়াও ৭টি কলেজের কিছু কিছু কাজ করতে হয়।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) থেকে ঈশ্বরদীর ৭টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে এসএসসি পরীক্ষা। এরমধ্যে ৫টি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড, ১টি মাদ্রাসা বোর্ড এবং ১টি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রের প্রশ্নপত্র ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, উত্তরপত্র প্রেরণসহ বিভিন্ন কাজ একাডেমিক সুপারভাইজারকে সামাল দিতে হচ্ছে।

এবিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার মোহাম্মদ আরিফ বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ শুণ্য থাকায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এখন কানা। এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে কেন্দ্রে দৌড়াদৌড়ি করতে হচ্ছে। প্রথম দিনের পরীক্ষায় মোট ৪ হাজার ১৫২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেছে জানিয়ে বলেন, অফিসে বসার সময় নেই, তাই কোন তথ্য দিতেও পারছি না। পরীক্ষার শুরু থেকে এবং শেষে বিভিন্ন জায়গায় রিপোর্ট পাঠাতে হয়। জরুরী ভিত্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ঈশ্বরদী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের শুণ্য পদ পূরণ করা প্রয়োজন বলে তিনি জানিয়েছেন।