নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দুই পাশে অর্ধশত মরা গাছ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নজর নেই

ইয়ানূর রহমান : নাভারন- বেনাপোল ও নাভারন-সাতক্ষীরা মহাসড়কের দুই পাশে মৃত অর্ধ মৃত প্রায় শতাধিক রোড রেন্ট্রী গাছ দীর্ঘ দিন ধরে ঝুকি পূর্ণ হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন নজর নেই। অবিলম্বে এসব মৃত ও অর্ধ মৃত গাছ গুলি অপসারন না করলে যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। হতাহত হতে পারে পথচারিসহ যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক, নছিমন, করিমন, জে এস এ ও ইজি
বাইকের যাত্রীরা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় একাধিক বার সংবাদ প্রকাশ করা হলেও কোন প্রতিকার হয়নি। যে কারনে হালকা ঝড় বা ঝড়ো হাওয়া হলেই এসব মরা গাছের পচা ডাল রাস্তার উপর ভেঙ্গে পড়ে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে বিভিন্ন যান বাহন ও পথচারী সাধারন মানুষ।

সরজমিনে দেখা গেছে নাভারন বাজার, শার্শা থানা সদর ও উলাশী বাজারে মৃত গাছগুলি সব থেকে বেশি ঝুকিপূর্ন। এ জন্য নাভারন, শার্শা ও উলাশীতে যে কোন মুহুর্তে পাকা রাস্তার উপর মরা গাছের ডাল পড়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে । বিষয়টি স্থানীয়রা বার বার প্রশাসনকে জানানো সত্বেও তাদের টনক নড়ছে না। এসব মরা গাছ কাটার দাবীতে একাধিক বার মানব বন্ধন করেছে বৈষম্য
বিরোধী ছাত্ররা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাভারন বাজারের ব্যবসায়ি আব্দুস সবুর বলেন, গত ২ শতাধিক বছরের পুরানো মরা গাছগুলো অপসারন না করলে মরা গাছের ঐ ডাল ভেঙ্গে পথচারীদের প্রানহানীর আশঙ্খা রয়েছে। তিনি গাছ গুলো কাটার জন্য জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নাভারন বাজার কেন্দ্রিয় জামে মসজিদের ইমাম আব্দুস সামাদ কাসেমী বলেন, যশোর-বেনাপোল, নাভারন-সাতক্ষীরা মহা সড়কের দুই পাশে মৃত ও অর্ধ মৃত প্রায় অর্ধশত ঝুকিপূর্ণ গাছ গুলো অপসরন এখন সময়ের দাবী।
তিনি বলেন যে কোন মুহুর্তে বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। তিনি আরো বলেন, শার্শা থানার সামনের রাস্তায় দুটি গাছ বেশি ঝুকির মধ্যে রয়েছে। যা জরুরী ভাবে ঐ মরা গাছের ডাল কাটা দরকার।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর জেলা পরিসদের সার্ভেয়ার এম এ মঞ্জু বলেন, উদ্ধর্তন কতৃপক্ষ অনুমোদন দিলে খুব দ্রুত ভাবে ঝুকিপূর্ণ ও মৃত ও অর্ধমৃত গাছ গুলি অপসারন করা হবে।#