কলারোয়া জিকেএমকে পাইলট হাইস্কুলের সার্বিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এবং প্রধান শিক্ষককের উপরে সন্ত্রাসী হামলা ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪(ফেব্রæয়ারী) বুধবার দুপুরের দিকে কলারোয়া সরকারি জিকেএমকে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকরেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহীদুল ইসলাম। তিনি বলেন-আমাদের শিক্ষক-কর্মচারিদের নামে ভূয়া রেজুলেশন তৈরী করে জাতীয়করণে প্রধান শিক্ষক ১৫/২০ লক্ষ টাকা শিক্ষকদের নিকট থেকে আদায় করেছেন এবং সেই টাকার একটি অংশ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ে দিয়েছেন এবং বাকি টাকা প্রধান শিক্ষক নিজে আত্মসাৎ করেছেন মর্মে এডিসি জেনারেল মহোদয়, সাতক্ষীরা বরাবর অভিযোগ করেন। সহ: প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রকীব ও সহকারি শিক্ষক মাহফুজা খাতুন এটি করেন। বিষয়টি এডিসি স্যার কর্তৃক গঠিত-উপজেলা নির্বাহি অফিসার মহোদয়, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের সমন্বয়ে তিনদিন ব্যাপি তদন্তে প্রমানিত হয়নি এবং ভূয়া রেজুলেশন করার দায়ে তদন্ত কমিটি সহ: প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রকীবকে ভৎসনা করেন। প্রকৃতপক্ষে বিদ্যালয় জাতীয়করণ সংক্রান্ত কাজে বিভিন্ন অফিসে যাতায়াত ও আনুষাংগিক কাজের জন্য শিক্ষক প্রতিনিধির মাধ্যমে মাঝে মধ্যে ১ থেকে ২ হাজার টাকা দেওয়া হয়। সে টাকাও আমাদের শিক্ষক প্রতিনিধির মাধ্যমে খরচ করা হয়। একটি বিশেষ মহল ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য এহেন অভিযোগ এনেছেন। বিদ্যালয় জাতীয়করণ কার্যক্রম শুরু হলে শিক্ষকদের বিদ্যালয় প্রদত্ত বেতন ভাতা প্রদান করায় সহ: প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকীব ও মাহফুজা খাতুন এডিসি স্যারের নিকট পৃথক পৃথক আবেদনে সরকারি নীতিমালা ভঙ্গ করে বিদ্যালয় প্রদত্ত বেতনভাতা প্রদান করছেন মর্মে অভিযোগ করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগে নাকি প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রব স্যার, সহ: প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকীবসহ ৭জন শিক্ষকের নিকট কোটি কোটি টাকা নিয়েছেন মর্মে আব্দুর রকীব ও মাহফুজা খাতুন এডিসি স্যারের নিকট পৃথক পৃথক আবেদনে অভিযোগ করেন। এডিসি স্যার মহোদয় কর্তৃক গঠিত-উপজেলা নির্বাহি অফিসার মহোদয়, একজন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট মহোদয়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মহোদয়ের সমন্বয়ে তিনদিন ব্যাপি তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হয়নি। সহ: প্রধান শিক্ষক আব্দুর রকীব প্রধান শিক্ষকের নামীয় রুপালী ব্যাংকের এসটি-৯৩৩৪ হিসাব নম্বর হতে ৩,০০,০০০/- টাকা লোন উত্তোলন করেন। তিনি যথাযথভাবে এই লোন এর টাকা পরিশোধ না করায় টাকা পরিশোধের তাগিদ দেওয়া তিনি বিদ্যালয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে থাকেন। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: মোস্তাফিজুর রহমানকে সহকারি প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রকীব এর ভাইয়ের স্ত্রীর নামে লোনের ভূয়া গ্রান্টার করায় বারবার ব্যাংক হতে তাঁর কাছে নোটিশ আসায় তিনি বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করায় আব্দুর রকীব তাঁকে বাঁশের চটা দিয়ে মারপিঠ করে রক্তাক্ত করেন। সহকারি শিক্ষক মো: মনিরুজ্জামান ভাষা সৈনিক ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ সংগঠক, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন এর চেয়ারম্যান, অত্র বিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রয়াত আলহাজ্ব শেখ আমানুল্লাহ স্যারকে বহুবার অপমান করেন। অত্র বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মো: আবুল হোসেন স্যারকে দায়িত্তে¡ থাকালীন সময়ে বারবার অপমান করেন। সিনিয়র শিক্ষক এসএম গোলাম রব্বানী, সহকারি শিক্ষক মো: ফারুক হোসেন, রুহুল আমিন সহ প্রায় ১০/১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারিকে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে অপমান, মারতে উদ্যত হওয়া ও ভীতি প্রদর্শন করেন। একজন অভিভাবকের অভিযোগের কারনে অত্র বিদ্যালয়ের হিন্দু ধর্মীয় ও শ্রেণী শিক্ষক রঞ্জন কুমার ঘোষ পরীক্ষায় নম্বর কমের বিষয়টি প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে বসে জানতে চাওয়ায় মালায়নের বাচ্চা বলে বারবার গালিগালাজ দিয়ে সা¤প্রদায়িক বিশৃংখলা সৃষ্টি করেন। পরীক্ষার খাতাসহ কপি সংযুক্ত। এসএসসি পরীক্ষা ২০২০ এ বিদ্যালয়ের হলরুমে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত আসন বিন্যাস ছাড়া সহ: প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রকীব এর পরিকল্পনায় মির্জানগর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বসানো হয়। সাথে সাথে ইউএনও স্যারকে অবহিত করে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক সভায় সহকারি শিক্ষক রফিকুজ্জামান যুক্তিসংগত প্রস্তাব করায় সহ: প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রকীব তাঁকে সরাসরি হুমকী দেন। পরের সভায় আবার সহকারি শিক্ষক মো: মনিরুজ্জামান ঐ শিক্ষককে পূনরায় হুমকী দেন। সহ: প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রকীব প্রায় সময় শিক্ষকদের সাথে গালিগালাজ করতেন। সকল শিক্ষক তাঁর গালিগালাজ হতে পরিত্রান পাওয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক বরাবর শিক্ষক কমনরুম স্থানান্তর করার আবেদন করি। ২০১৯ শিক্ষাবর্ষে সহ: প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রকীব ৪৫ দিন নৈর্মত্তিক ছুটি ভোগ করেন। বাউবির ২০ টি ক্লাস পরিচালনার কথা থাকলেও তিনি মাত্র ০২ টি ক্লাস গ্রহন করেন যা বিদ্যালয়ের ক্ষতি। তাকে শোকজ করা হয়। তিনি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক বরাবর একটি খাম প্রেরন করেন খামটি খোলা হয় এবং খামের ভিতর দেখা যায় সাদা কাগজ। সহ: প্রধান শিক্ষক মো: আব্দুর রকীব ২০১৯ সালে প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক কিছু গুরুত্ত¡পূর্ন কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন। এসকল বিষয় প্রধান শিক্ষক প্রশাসনিক ভাবে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট উপস্থাপনের চেষ্টা করলে তার উপর ন্যক্ক্যারজনক ঘটনা ঘটিয়ে তাকে লাঞ্চিত করা হয়। কতিপয় শিক্ষক প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য বিভিন্ন প্রকার অপপ্রচার চালাচ্ছেন। আমরা উপস্থিত সকল শিক্ষক-কর্মচারি এ ধরনের মিথ্যা, বানোয়ার্ট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ এবং প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুর রব এর উপর হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সার্বিক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।