রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লি পাত্র প্রস্তুতির সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ ধাপটি সম্পন্নষ করেছে জেএসসি “এইএম-টেকনোলোজির” ভল্গোদনস্ক শাখা ( রোসাটমের যন্ত্র প্রস্তুতকারী শাখা এটোমেনার্গোম্যাস ) ।
রোসাটমের গণমাধ্যম শাখা জানায়, রেডিওগ্রাফিক টেস্টের পরে ৩২০ টন ওজনের এই চুল্লি পাত্রকে গ্যাস ফার্নেসে ছয়টি থার্মোকাপল স্থানান্তর করা হয়। পরে যন্ত্রাংশটিকে ৩ দিন ধরে ৬৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফার্নেসে রাখা হয়েছিল। চার্জের ধরন ছিলো ১০ ডিগ্রী থেকে ৬৫০ ডিগ্রী সেলসিয়াস। বিশেষজ্ঞরা এই তিন দিন থার্মাল ডিটেক্টরের রিডিং রেকর্ড করেন। চুল্লি পাত্রটির থার্মাল টেম্পারিংয়ের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে এই ধাপটি ছিল খুবই গুরুত্বপুর্ন । চুল্লি পাত্রটিকে ঢালাইয়ের চাপ মুক্ত করতে এবং প্রয়োজনীয় ধাতব যান্ত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি অর্জন করতে চুল্লি ভেসেলের হিট ট্রিটমেন্ট করা প্রয়োজন ।
এই চুল্লি পাত্রটি প্রথমত: শ্রেনীর নিরাপদ যন্ত্র । এটি একটি লম্বা সিলিন্ডার আকৃতির উপবৃত্তাকার তল বিশিষ্ট পাত্র। এর উপরের অংশটি একটি ঢাকনা দ্বারা দৃঢ় ভাবে আটকানো থাকে এবং এর সঙ্গে ড্রাইভ মেকানিজম, রিয়াক্টর এর নিয়ন্ত্রন ও সুরক্ষা এবং নজেলের মাধ্যমে রিয়াক্টরের নিয়ন্ত্রন সেন্সরের তার গুলো কে বাইরে নেয়ার ব্যাবস্থা থাকে।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য চুল্লি ও চারটি স্টিম জেনারেটর সহ সম্পুর্ন ১ সেট যন্ত্র বাংলাদেশে ২০২০ সালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত: রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ান নকশা অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে । এর নকশা ও নির্মান করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ। বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২টি ইউনিটে ভিভিইআর ১২০০ রিয়াক্টর ব্যাবহার করা হবে যার উৎপাদন কাল ৬০ বছর যা পরবর্তীতে আরও ২০ বছর বর্ধিত করা সম্ভব ।