নওগাঁর সাপাহারে এলজিইডি’র রাস্তার জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ব্যাবসায়ী আমিনুল হকের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানাযায়, উপজেলার খঞ্জনপুর মোড় এলাকায় বিজিবি ক্যাম্পের দক্ষিণ পার্শ্বের এলজিইডি’র আওতাভুক্ত কিছু জায়গা ওই গ্রামের মৃত আয়েন উদ্দীন সরকারের ছেলে আমিনুল হক সরকার দখলে নিয়ে ইট দিয়ে অধৈব স্থাপনা হিসেবে দোকান ঘর নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন। বিগত কয়েক বছর ধরে ফাঁকা পড়ে থাকলেও বর্তমানে সেখানে গড়ে উঠছে অবৈধ স্থাপনা। যাতে করে রাস্তায় চলাচলে অসুবিধায় পড়তে হতে পারে এলাকার হাজারো মানুষকে অপরদিকে অবৈধ ভাবে সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণে জমি দখল চক্র সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলে ধারনা এলাকার সচেতন মহলের। একসময়ে ওই জায়গাটিতে শিরন্টী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের অফিস কার্যালয় ছিলো। যা ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট সরকার আমলে ভেঙে ফেলা হয় বলেও জানান স্থানীয়রা। এবিষয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে যেখানে জনস্বার্থে একটি দলীয় অফিস কার্যালয় ভেঙে ফেলা হয় সেখানে একজন ব্যক্তি কিকরে ওই জায়গা দখলে নিয়ে অধৈব স্থাপনা নির্মাণ করে। বিষয়টিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয়রা।
আমিনুল হক সরকারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পিছনে আমার জায়গা আছে তাই এই জায়গাতে আমি ঘর নির্মাণ করছি। আসে পাশে আরো অনেকে সরকারি জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে, তাদের গুলো ভাঙা হলে আমারটাও ভেঙে দিবো। এসময় সেখানে উপস্থিত আমিনুল হক সরকারের ছেলে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে সাংবাদিকরা তার পরিচয় জানতে চাইলে সে সুপ্রিম কোর্টের এ্যাডভোকেট এবং আমিনুল হক সরকারের ছেলে মোঃ আল-মামুন বলে পরিচয় দেন। এবং সে সাংবাদিকদের বলেন, এই নির্মাণ কাজের শুরুর দিকে এলজিইডি’র অফিস থেকে লোক এসেছিলো তারা আমার পরিচয় পেয়ে ফিরে গেছেন। তাই আপাতত কোন ঝামেলা দেখছিনা।
এবিষয়ে উপজেলা এলডিইডি’র প্রকৌশলী ইমরান সরকারের সাথে কথা হলে তিনি জানান, সাপাহার হতে খঞ্জনপুর রাস্তাটি প্রসস্থ করণ কাজ করার জন্য প্রক্রিয়া চলমান আছে। যা চার থেকে পাঁচ মাসের মধ্যেই এ কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ বিষয়ে ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।