মেঘলা শৈশব

ভিখারীনি মায়ের কোলে জন্মেছে এক শিশু,
পথের ধুলোয় উঠছে বেড়ে পথের মানব যিশু।
বাবার নামটা চিরকালই থেকে যাবে অজ্ঞাত,
জীবন এদের শেখায়নি কখনোই হতে সংযত।
এমন মিষ্টি হাসি আর মন ভোলানো রূপ,
রাস্তাঘাটে সকলেরই মুখের কথা চুপ।
মা নিজেই অভূক্ত,স্তনসুধা তাই পাওয়াই দায়,
এঁটোকাটা খেয়েই তাই তার দিব‍্যি দিন চলে যায়।
ভোর হওয়ার সাথে সাথেই ঘুম কাটাতে হয়,
সারাটাদিন ভিক্ষা করেই পেট চালাতে হয়।
ভগবানের কেমন খেলা অবাক হয়ে ভাবি,
বাঁজা মায়ের হাজার ডাকেও পূরণ হয়নি দাবি।
অট্টালিকার যেই নারীর আজও কোল শূন্য,
হাজার ঐশ্বর্য‍্যও পারেনি তার জীবন করতে পূর্ণ।
অথচ পথের পরে অবহেলায় জন্মাচ্ছে দেবশিশু,
বিনা যতেœতে উঠছে বেড়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যিশু।
উলঙ্গ তো শিশুটি নয় উলঙ্গ আজ মানবতা,
সত্যি কি পথের শিশুরা পাবে কোনোদিন বাঁচার স্বাধীনতা?
ভগবানের নাকি অসীম ক্ষমতা মহিমা অপার,
চোখের জল মোছার তার সত্যি কি নেই অধিকার?
জানিনা কোনোদিন পথের শিশুরা পাবে কিনা কোনো মান,
সেইদিন হয়তো জিতে যাবে নর মানবতা পাবে সম্মান।