সময়ের আন্দোলন


এনামুল হক টগর

ভোরের মুক্ত ও বিপ্লবী পাখিগুলো সময়ের আন্দোলনে উড়ে যাচ্ছে ঐ আসমান দিগন্ত নীড়ে।
তাদের গানের গভীরে সাম্য বন্টন চেতনার বহমান তরী,
যেন অনাগত বংশধরদের জীবন অধিকার আদায়ে,সামনে নতুন সভ্যতার নিপুণ সংস্কার।
মানবতার পথে পথে কতো নির্মম ও নিষ্ঠুর বাঁধা,
কতো বিপত্তি কতো জীবন বিপন্ন রক্তপাত বেদনার ধাঁ-ধাঁ।
মুক্তির জন্য কালের অশুভ দেয়ালগুলো
ভেঙে দাও বন্ধু জাগাও নতুন আলো।
দিকে দিকে ভেঙে দাও অসাম্যের অসৎ নীতি,
আনো দীপ্ত সূর্য দক্ষ জ্ঞানের সরল প্রগতি।
গ্ৰাম ও নগরের রাস্তায় রাস্তায় অসংখ্য
দিন-মজুর,
এখনও ক্লান্ত নিরব তাদের জীবন সংসার অভাব ও অনাহারে।
দাঁড়িয়ে আছে বিষণ্ণ ক্ষুধায় মরণ জ্বালা বুকে নিয়ে বেদনায়।
একটু স্বচ্ছ আলো দাও ও ক্ষুধামুক্ত চেতনার ভালোবাসার দাও প্রেমময়।
সামনে ঘাতক ও লেবাসধারীরা ফেঁতনায়, কঠিন দ্বন্দ্ব করে লোভ ও লালসার ক্ষুধায়।
পেছনে আঁধার অচেনা শত্রুরা
বিকৃত ঘৃণায় ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে।
হে সৎ সংস্কারক আরো পথ হেঁটে যাও কর্ম গতি নিপুণ,
জ্ঞান দাও প্রজ্ঞায় নতুন নির্মাণ,নতুন কল্যাণ,বিজ্ঞ সম্মান।
কর্ম সফল হলে এক সময় মাটির স্তরে স্তরে শস্য সুবাস ছড়াবে মধুময় প্রেমে ভরপুর।
ক্ষুধামুক্ত জীবন বার্তায় সমাজ আলোকিত হবে চৈতন্য উদয়।
দীপ্ত আলো ও ভালোবাসার সাম্য বিনিময়ে
আসন্ন উত্তরসূরীরা জাগরিত হবে প্রেমময়।
বিশ্বের কানায় কানায় জেগে উঠবে মানব সভ্যতার বিজয়।
অনাহারীর অভাব অনাটন দূরে সরে যাবে
ফ্যাক্টরি ও কারখানায় পণ্য উৎপাদন হবে আগামী নব নব।
আমাদের আগামী বংশধররা বিজয়ের
দৃঢ় দীপ্ত আহবান করবে জ্ঞানের ধ্বনিতে সুদূর-
সমাজের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে সম্ভবনার খাদ্য ফসল ভাণ্ডার।
যদিও সামনে মলিন দিন ও জমাটবাধা আঁধারে পৃথিবী নীল বিষণ্ণ!
সময়ের সাহসী ও ধৈর্যশীলরা এগিয়ে যাবে মানবতার দক্ষ সূর্য কিরণ।
আগামী শস্য উৎপাদনে মানুষ গড়ে তুলবে অভাব মুক্ত জীবন পরিচয় নীড়।
নতুন আন্দোলনে প্রতিবাদ প্রতিরোধ হবে সমান বন্টন দাবি অধিকার।
কতো দুশমন কতো লেবাসধারী শত্রুরা
কতো জ্ঞান পাপী পন্ডিতরা পরাজিত হবে ভিষণ আঁধার,
তারপরও দেশপ্রেমের কর্মে মাটির, সানুদেশে ফুলগুলো ফুটবে সুন্দর,
আর ফলগুলো দোল দেবে সূর্যোদয় দেশে বাহারী।
আশার সংসার ভরে উঠবে নতুন বাসনার শস্যে ভাণ্ডার,
আমরা সবাই অভাবমুক্ত হবো অন্ন বস্ত্র ও চিকিৎসা সেবায় তৃপ্ত আহার।
ফিরে পাবো সমান সম্পদ অধিকার প্রীতি
শস্য বন্টন ভূমির স্থিহি ও ন্যায়-পরায়ণ নীতি।
যেখান দিয়ে উত্তরসূরীরা হেঁটে যাবে সুমধুর জন্মভূমি প্রিয় মৃত্তিকার জ্যোতি।