ভাঙ্গুড়ায় শীতার্তদের পাশে শুভসংঘ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শুভসংঘের উদ্যোগে হতদরিদ্র ৫০ টি পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার শুভসংঘের ৩১ জন বন্ধুর চাঁদায় প্রায় ১০ হাজার টাকায় এই কম্বল কেনা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে কম্বল বিতরণ করেন ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান। এদিন শুভসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আহমেদ উল হক রানা ও ভাঙ্গুড়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার শুভসংঘের বন্ধুরা প্রতিবছর নিজেদের টাকায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা অর্ধশতাধিক হতদরিদ্র নারী ও পুরুষের হাতে এই কম্বল তুলে দেওয়া হয়। এসময় কম্বল হাতে পেয়ে অসহায় মানুষগুলো আবেগে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন। অনুষ্ঠানটি আয়োজনে নিরলস পরিশ্রম করেন উপজেলা শুভসংঘের সদস্য শাহিবুল ইসলাম পিপুল, আহমেদ নিয়াজ মোর্শেদ, নিজাম উদ্দিন, আকাশ ও শাকিল। কম্বল বিতরণ শেষে সেখানে উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানার সঞ্চালনায় শুভসংঘের সাংগঠনিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়। মিটিংয়ে শুভসংঘের বন্ধুদের আরো মানবিক ও সামাজিক হওয়ার জন্য দিক নির্দেশনামূলক পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি আহমেদ উল হক রানা। উল্লেখ্য, শুভসংঘের ভাঙ্গুড়া উপজেলা শাখার উপদেষ্টা প্রকৌশলী জাহিদ হাসানের অর্থায়নে প্রতিবছর জানুয়ারি মাসে দরিদ্র পরিবারের শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীকে ৫০০ টাকা করে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়। এছাড়া এবছর করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া ৩০০ পরিবারকে শুভসংঘের মাধ্যমে নগদ ৫০০ টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন এই উপদেষ্টা। শুভসংঘের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এই টাকা হতদরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয়।

কম্বল নিতে আসা ৭৫ বছর বয়সী রহিমা খাতুন বলেন, ‘শীত আসার পর থেহে খুব কষ্ট হচ্ছিল। বাড়ির পাশের কত মানুষের কাছে কম্বল চালেম। কেউ দিল না। আর এই ছাওয়ালরা আমারে ডাহে নিয়ে আসে কম্বল দিল। এখন শান্তিতে ঘুমাতে পারমু। আল্লাহ যেন সহলের ভালো করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, মানুষকে কিভাবে সামাজিক ও মানবিক হতে হয় তার শিক্ষা দেয় শুভসংঘ। মানুষের জন্য কিছু করতে হবে শুভসংঘের সদস্যদের মধ্যে এই অনুপ্রেরণা লক্ষ করেছি। তাই শুভসংঘের সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করি। শুভসংঘের অনুষ্ঠানে আসলেই মনটা অনেক ভালো হয়ে যায়।