চরের কৃষকরা বাদাম পরিচর্যায় ব্যস্ত

মোঃ হযরত বেল্লাল, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ 
চরের কৃষকরা এখন বাদামসহ বিভিন্ন ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে। দীর্ঘদিনের তিস্তার ভাঙনে জমি জিরাত খুঁয়ে যাওয়া পরিবার গুলো যেন তাদের  প্রাণ ফিরে পেয়েছে। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদীর বিভিন্ন  চরাঞ্চলে এখন  বাদামসহ নানা জাতের  শাকসবজি, আলু, বেগুন, মরিচ, ছিটা পিঁয়াজ, আদা, রসুন, সিম, ধনে পাতা, গাজর, কফি, মুলা, লাউ, গম, তিল, তিশি, সরিষা, ভুট্টা চাষ করা হচ্ছে। চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ফিরে দেখা গেছে বর্তমানে বাদাম উঠানো, শুকানো, বস্তা জাত করাসহ বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন চরের কৃষক-কৃষাণীরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে চরাঞ্চলে ২৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষাবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি। অল্প সময়ে অধিক লাভের আশায় চরের কৃষকরা বাদাম চাষে ঝুঁকে পড়েছে। বাদামের আয়ুকাল ৯০ হতে ১০৫ দিন।
বেলকা ইউনিয়নের রামডাকুয়া চরের কৃষক মন্জু মিয়া জানান, তিনি ২ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছে। এতে তার খরচ হয়েছে ১৮ হতে ২০ হাজার টাকা। তিনি আশা করছেন বিঘা প্রতি ১০ হতে ১২ মন বাদাম হবে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি বাদাম ৮০ হতে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, খরচ বাদে বিঘা প্রতি লাভ হবে ২০ টাকা।
বেলকা ইউপি ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ জানান, বর্তমান চরাঞ্চলে বাদামসহ নানা জাতের ফসল চাষাবাদ হচ্ছে। চরের কৃষকরা এখন চাষাবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। কৃষি কাজ তাতের একমাত্র ভরসা। চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন থাকায় চরাঞ্চল হতে চাষিরা উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারে নিতে পারছে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, তিস্তার চরাঞ্চল এখন আবাদি জমিতে পরিণত হয়েছে। চরাঞ্চলের মাটিতে পলি জমে থাকার কারণে অনেক উর্বর। সে কারণে রাসায়নিক সার ছাড়াই বিভিন্ন ফসলের ফলন ভাল হচ্ছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলে বাদামসহ ভুট্টা, গম, আলু, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুন, সরিষা, তিল, তিশিসহ শাকসবজি এবং নানা জাতের দান চাষ বেশি হচ্ছে। কৃষকরা নানাবিধ ফসল চাষাবাদ করে লাভবান হচ্ছে দিনের পর দিন।